পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । এক্ষণে কোথায় গেল ! তাহারা এরূপ স্বার্থপরতা ও কলহপ্রিয়তা কোথায় শিখিল ! হায় ! এ দেশে, প্লেগ, ওলাউঠা ও বসন্তের ন্যায়, মোকদ্দমাপ্রিয়তাও একটি ব্যাধি হইয়া উঠিয়াছে ! ইহার করাল কবলে, যিনি নিপতিত না হন, প্রকৃতপক্ষে তিনি বড়ই ভাগ্যবান ! হায় ! এ দেশে, ক্ষমা, সহিষ্ণুতা ও স্বাৰ্থত্যাগ, আর নাই ! এই সকল গুণের অভাববশতঃই, মানব, এই সৰ্ব্বনাশকর ব্যাপারে প্রবৃত্ত হয়। এক মোকদ্দমাপ্রিয়তাই, মনুষ্যকে পশুত্বের দিকে বহুল পরিমাণে প্রেরণ করে। মিথ্যা, প্রবঞ্চন ও হিতাহিত বিচারশূন্তত এবং অন্যায়াচরণ, অভাব ও অশান্তি প্রভূতি যাবতীয় অনর্থ মোকদ্দমা-প্রসূত । হায় ! আমি আর কত সহ করিব ! এক্ষণে যাতনা সম্পূর্ণরূপে অসহনীয় হইয়া উঠিয়াছে। ধৰ্ম্ম-শীল ভারতসন্তান, তোমরা দেশে দেশে “সালিসী বিচারালয়” স্থাপন করিতে বদ্ধপরিকর হও এবং স্বার্থরক্ষার্থ, ক্রোধপরবশ হইয়া, শক্তিসত্ত্বে কখনও আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করি ও না । যে দেশে দুর্ভিক্ষ বারমাস বিরাজমান, যে দেশে অন্নাভাব হেতু প্রতি বর্ষে লক্ষ লক্ষ লোক প্রাণত্যাগ করে, যে দেশে এক এক লোকের দৈনিক আয়, গড়ে দশ পয়সা মাত্র, মোকদ্দমাপ্রিয়তা কি সে দেশে সাজে ? সে দেশে ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার প্রয়োজন ! একজন দেশহিতৈষী কবি, “আদালত” সম্বন্ধে একটি কবিতা লিখিয়াছেন,—তাহ আমার মনে পড়িতেছে — እ»ጛዓ