వ8 দেবীরবিন্দ । তেছে । আমি জননীপ্রমুখাৎ শ্রবণ করিয়াছি, স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে চির-জীবন প্রীতি-বন্ধনে আবদ্ধ থাকিয় গার্হস্থ্যtশ্রম অবলম্বন পূৰ্ব্বক পরম মুখে কালযাপন করবেন, এবং স্বামী বিশ্বপতির অদ্ভুত কার্ধকৌশল ও অপার কৰুণার বর্ণনা ও বিবিধ সস্থাপদেশ দ্বারা স্বীয় সহধৰ্ম্মিণীর বুদ্ধিবৃত্তি ও ধৰ্ম্মাদি উৎকৃষ্ট প্রৱত্তি সকল উত্তেজিত করবেন। অতএব আমার নিতান্ত বাসনা যে উপযুক্ত বিষয়ে কিঞ্চিৎ বস্তৃতা দ্বারা এ দাসীকে চরিতার্থ কৰুন।” রাজকুমার প্রণয়িনীর ধৰ্ম্মপ্রতি ঐকান্তিক অনুরাগ এবং ঈশ্বরপ্রতি অটল ও অবিচলিত একান্ত আন্তরিক ভক্তি দেখিয় প্রফুল্লচিত্তে কৰিত্নে লাগিলেন, “প্রিয়ে! এই নশ্বর জগতে ধৰ্ম্ম আমদের এক মাত্র বন্ধু ও অবলম্বনীয়। লোকে কেবল ধৰ্ম্ম-তরণি যোগেই অবলীলাক্রমে এই অপার জগদীর্ণবের বিপদ রূপ উৰ্ম্মিনিচয় উত্তীর্ণ হইয়। সেই অনন্ত ও অবিনাশী অমৃতপুৰুষের আনন্দ-নিকেতনে উপস্থিত হইতে সমর্থ হয়। অন্তৰ্বামী সাৰ্ব্ব ভেীম ঈশ্বর , মহামুধি স্বরূপ, আমরা স্রোতস্বতী রূপে সেই মছামুধি হইতেই অস্তিত্ব লাভ করিয়াছি, এবং অবশেষে সেই মহার্ণবে বিলীন হুইব ।’ মনুষ্যের ত্ৰিবিধ মনোৱত্তির মধ্যে ধৰ্ম্মপ্রৱত্তি সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রধান ; কিন্তু ইহার উন্নতি সাধনাৰ্থে অনুমতি, উপমিতি প্রভৃতি বুদ্ধিৰ্ব্বত্তি ও কাম, ক্রোধ, জিঘাংসা, অসঙ্গলিপস, অর্জনস্পৃহা, অপত্য-স্নেহ প্রভৃতি নিকৃষ্ট প্রবৃত্তিরও সহকারিতা অবিশ্বক করে । অতএব এককালীন কোন প্রৱত্তিবর্জিত হওয়া অনুচিত । কিন্তু ইছার মধ্যে নিকৃষ্ট প্রৱত্তি-সমূছকে প্রধান প্রবৃত্তির বশবৰ্ত্তা রাখিয় বিশ্বপতির শাসন-প্রণালীর যথার্থ তত্ত্ব প্রতিপালন করিতে হুইবে । কৰুণাময় পরমেশ্বর
