তৃতীয় পরিচ্ছেদ । - $ 9 of এক্ষণে সে সমস্ত স্মৃতিবত্বর্ণপনীত করিয়া অমঞ্চভচিত্তে প্রীক্তি সহকারে বিদায় কর।” সখীর রাজকুমারীর ইশ্বস্তৃত ক্ষেছোক্তি শ্রবণ করিয়া, “ সখি ! কোথায় যাও, যাইজে পাইবে ন৷ ” বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিয়া উঠিল, এবং প্রেমভরে তাহার কণ্ঠ-দেশ ধারণপূর্বক কছিতে লাগিল, “ আমরা আর কাছাকে সখি সম্বোধন করিয়া কৃতাৰ্থ হুইব ।--আর কাছার পীযুষ-পূর্ণ বদন-কমল নিরীক্ষণ করিয়া নয়নযুগলের সার্থকতা সম্পাদন করিব ?--অর্ণর কাছার সুধাবর্ষণ সদৃশ মৃদুমধুর বাক্য-পরম্পর আকর্ণম করিয়া কর্ণকুহুর শীতল করিব ?—আর কাছার সছিত একত্র হইয় প্রফুল্লিত চত্তে কুসুমোদ্যানস্থিত পাদপ-সমুহের আলবালে বারি সেচন করিব ? আমরা কখন তোমার বিচ্ছেদ বেদন সঙ্ক করিতে পারিব না ।” চন্দ্রপ্রভ অশ্লধারা-বিগলিত নয়নে কহিতে লাগিলেন, “ প্রিয়সখীগণ ! ৰূখ অনুতাপ করিয়া আর শোকাবেগ উচ্ছলিত করিওনা, এ অনুতাপের সময় নয় ; হৃদয়-বল্লভ অন্তঃপুরদ্বারে দণ্ডায়মান হইয়। আমার কারণ প্রতীক্ষা করিতেছেন ; অতএব এক্ষণে শোক পরিত্যাগ করিয়া আনন্দ প্রকাশপূৰ্ব্বক স্নেহালিঙ্গন দ্বারা পতির অনুগমনার্থে ੋੜ বিদায় কর । সখীগণ ! তোমাদিগকে আর কয়েকটী কথা বলিরা যাই, অবশ্ব প্রতিপালন করিও —আমার অদৃষ্টে যাহা ছিল তাছাই ঘটিল, সেজন্য তোমরা আর বিলাপ করিও না। অামার ভাবন ত্যাগ করিয়া তোমরা সত্বর মাতার নিকট গমন কর । আমার বিচ্ছেদে তিনি নিতান্ত শোকত্ত্ব ও অস্থির হইবেন, সন্দেহ নাই , যাহাতে র্তাহার শোকের হ্রাস ও চিত্তের স্থৈৰ্য্য সম্পাদন ছয়, প্রাণপণে তাহা করিও ; যাছাডে আমার বিরহ-বেদন উছার চিত্ৰৱতি ছইতে অচিরে অপসারিক্ত
