বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । 密拉 করিতে হইবে ?” রাজকুমার দস্থ্যর কুবচনে ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন, * অরে অরিষ্টভূষ্টধীমুখ ! তুই স্তেয়াবলম্বন করিয়াছিস বলিয়া কি সকলকেই তস্কর ৰোধ করিস্ ? আমি তোর সমস্ত ছুঙ্কিয়ার বিষয় অবগত হইয়াছি এবং তৎ প্রতিফল প্রদানে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হইয়। অত্ৰস্থানে আগমন করিয়াছি ; অতএব সাবধান হইয় গৃহে প্রবেশ কর ।” দস্থ্য রাজকুমারের এতাদৃশ তিরস্কার শ্রবণে ক্রোধে বাহ-জ্ঞান-শূন্য হইয়। যেমন বেশ্বাভ্যন্তরে প্রৱেশ করিতেছিল, অমনি রাজকুমার করস্থিত নিশিত করবাল দ্বারা উহার শিরশেছদন করিলেন। স্থপত্মিজ দুরাত্মা দস্থ্যকে গতাতু দেখিয় প্রীতি-প্রফুল্লম্বদয়ে রাজকুমারের হস্ত ধারণ পূৰ্ব্বক এক সুবর্ণ-ময় পল্যঙ্কে উপবেশন করিলেন এবং উহাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “ মহাবাহে ! আপনি কি প্রকারে এই অগম্য স্থানে আগমন করিলেন ; বিশেষ করিয়৷ তদ্বর্ণন দ্বার অধীনীর কৌতুহলাত্রান্ত চিত্তকে পরিতৃপ্ত কৰুন।” দেবরাজ মৃদুভাষিণী চন্দ্রকলার এই বাক্য শ্রবণানন্তর কহিলেন “ অয়ি কৌতুহলাক্রোন্তে ! সে বিস্তর কথা, যদি নিতান্তই শুনিবার ইচ্ছা হইয়া থাকে, শ্রবণ কর ”—এই বলির পিতা-কর্তৃক ভৎসিত হওয়াতে দেশত্যাগ, তদনন্তর ভ্রাতার সহিত বিচ্ছেদ, ইত্যাদি, আছোপান্ত সমুদায় বর্ণনা করিলেন। হুপাল-তনয়৷ দেবরাজপ্রমুখাৎ সমস্ত বিবরণ শ্রবণ করিয়া সাতশয় চমৎকৃত হইয়া কছিলেন, “ যদি এ অভাগিনীর দুঃখ-বিমোচনার্থই এস্থলে আগমন করিয়া থাকেন, তবে অচিরে অধীনীকে স্বীয় সহধৰ্ম্মিণী করিয়া পূর্ণ-মনোরথ হউম।” দেবরাজ স্থাপনন্দিরীর ঈদৃশ পীযুষবষ্ণুক বাক্য-পরম্পর আকর্ণন করতঃ অনন্দরসে