t৩ - - ¢मृदांज्ञश्मिन ! অবগাহন পুরঃসর কিঞ্চিৎ ফলমূল ভক্ষণ করিয়া ক্ষুধ শান্তি করিলেন । এমত সময়ে অনতিদূরে একখানি অর্ণব-পোত দৃষ্ট হইল। কিঞ্চিৎকাল মধ্যেই ঐ অর্ণব-যান আসিয়৷ ঘাটে উত্তীর্ণ হইল । নাবিকেরা যান হইতে অবতরণপূর্বক কুলে আগমন করতঃ রাজকুমারকে তথায় দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ মহাশয়, এস্থান হহঁতে বন্দর কতদূর হইবে ?” রাজকুমার তর্জনী-নির্দেশ পূর্বক কছিলেন, “ ঐ বাজার দেখ। যাইতেছে।” মাবিকের বিপণি হইতে নানাবিধ আহার্ষ্য দ্রব্য আনয়নানন্তর একত্রে কুলে বসিয়া অtছারাদি করিল। পরে পোতাধ্যক্ষ রাজনন্দনকে সম্বোধন করিয়া কছিল, “ মহাশয় ! আপনার আকৃতি, প্রকৃতি দর্শনে বোধ হইতেছে আপনি এদেশ-বাসী নছেন, কোন কাৰ্য্যোপলক্ষে এস্থানে আগমন করিয়া থাকিবেন।” রাজকুমার কছিলেন, “ আপনি যথার্থ অনুমান করিয়াছেন, আমার বাৰ্টী গুজরাট দেশে, কোন কারণ বশতঃ স্বদেশ পরিত্যাগ করিয়া বিদেশ পৰ্য্যটনে প্রবৃত্ত হইয়াছি।” পোতাধ্যক্ষ স্বপনন্দনের অসদৃশ অঙ্গ-সৌষ্ঠব এবং মুখমণ্ডলের অলৌকিক মাধুরী ও সোঁকুমার্ষ্য নিরীক্ষণ করিয়া সাতিশয় বিস্মিত হইয়াছিল, অতএব মনে মনে বিবেচনা করিল, এব্যক্তি সামান্য ব্যক্তি নহে, বোধ হয় কোন রাজপুত্র ছদ্ম-বেশে ভ্রমণ করিতে ছেন । পরে অরবিন্দকে সম্বোধন করিয়া কছিল, * মহাশয় । যদি দেশ-ভ্রমণে প্ররক্ত হইয় থাকেন, তবে আমাদের দেশে চলুন । বিজয়পুর নাম্নী নগরীতে আমাদের বাসস্থান ; তথায় নানাবিধ মনোরঞ্জক দ্রব্য আছে। ইচ্ছা হইলে পুনরায় আমাদের সহিত এস্থানে আগমন করিতে পারবেন।” রাজকুমার বিবেচন৷
