পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ | ** ইতি-পূৰ্ব্বে ঐ নরাধম স্বীয় সেনা-গণকে শিক্ষিত করিয়া রাখিয়ছিল, যে, নিশীথ সময়ে যখন অরবিন্দ নিদ্রিত থাকিবেন; তখন উহাকে প্রাণ-সংছর-পূৰ্ব্বক এক জনশূন্ত প্রদেশে রাখিয়। আইসে। দিবসে নানা প্রকার অদ্ভুত বস্তু ও কৌতুক দর্শন করিয়। রজনী আগত হইলে, ভক্ষ্য পেয় ভোজন পান সমপনানন্তর সকলে বিহার-শ্রান্ত প্রযুক্ত ঘোর নিদ্রীয় অভিভূত হুইল । ইত্যবসরে রাজ-শিক্ষিত সৈন্তাগণ অরবিন্দের শয্য সমীপে উপস্থিত হইয় স্বীয় স্বীয় অস্ত্রদ্বারা ভঁছার সবর্বশরীর ক্ষত বিক্ষত করিল এবং প্রাণ বিয়োগ হইয়াছে বিবেচনা করিয়া, তাহার মৃতকপ-দেহ রাজানুমতি ক্রমে বেগ-গামী অশ্ব-যোগে বহু দূরস্থিত এক বিজন কাননে রাখিয়া আসিল । পরদিন প্রাতঃকালে নরথম হ্রাচর নরসিংহ সুপ্তঘাতীগণকে আহবান করিয়া জিজ্ঞাস করিল, “কেমন, অজ্ঞ। পালন করিয়াছ” ? উহার নত-শিরঃ হইয়৷ উত্তর করিল, “মহারাজ ! গত রজনীতেই অজ্ঞানুরূপ কাৰ্য্য করিয়াছি।” এতচ্ছবণে হ্রর"ত্মা সীতিশয় প্রীত হইয়। সৈন্য-সামন্ত সমভিব্যাছারে স্বীয় রাজধানীতে প্রত্যাগমন করিল ! রাজ-সৈন্ত-গণ প্রাণত্যাগ হইয়াছে বোধে অরবিন্দের মৃত-প্রায় দেহ অটবিমধ্যে রাখিয়া গিয়াছিল বটে ; কিন্তু বাস্তুবিক ভাষার প্রাণ বিরোগ হইয়াছিল না । তথাচ তাছার জীবন রক্ষার কোন সম্ভাবন ছিল না । কৰুণাময় পরমেশ্বরের কি অপার কৰুণ ! অপবুদ্ধি নশ্বর মনুষ্য কি কখন *াই সৰ্ব্ব-নিয়ন্ত অবিনশ্বর অবনীশ্বরের অভিপ্রায়ের বৈপরীত্যাচরণ করিয়৷ কৃতকার্য হইতে পারে? অরবিন্দ হঠাৎ সুণ্ডোখিতের ন্তায় চৈতন্ত প্রাপ্ত হইয়