বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬ দেবারবিন্দ । লাগিল । ক্রমে স্বৰ্য্য-রশ্মি চতুর্দিকে সম্যক-রূপে বিকীর্ণ ছওয়াতে বোধ হইল, যেন বসুমতী দিব্যোদকে স্নান করিয়া মলিন বসন পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক স্বর্ণ-বৰ্ণ পীতাম্বর পরিধান করিলেন। এই সকুল স্বভাব-সৌন্দর্ঘ্য দর্শনে রাজকুমার আনন্দরসে সিক্ত হইয়। মনে মনে কছিতে লাগিলেন, স্থটির শোভ যে পৰ্য্যবলোকন করে নাই তাছার নয়নই বিফল । ইহা অপেক্ষ। আর কি উৎকৃষ্টতর শোভা আছে ? আহ এই স্নিগ্ধ অনিলম্পর্শে আপাদমস্তক শীতল হইতেছে । হায়! লোকে সামান্য সৌধ-শিখর দেখিয়া বিবেচনা করে, তদপেক্ষ বুঝি অধিকতর শোভনীয় আর কোন বস্তু নাই ; কিন্তু এমন প্রসারিত ব্যোমমণ্ডল ও তাছার অনুপম সৌন্দর্ঘ্য কিছুই দর্শন করে না। কেবল মনুষ্যের করাঙ্কিত চিত্র বিচিত্রাবলোকনেই মুগ্ধ থাকে ! এই তুষারা রবি-কর-সংযুক্ত লুত-তম্ভ-বিতান মানব-রচিত মণিময় চন্দ্ৰাতপ অপেক্ষ কত সুত্ৰ ! এখানে স্বয়ং জগদীশ্বর স্বভাবের সহিত ক্রীড়া করিতেছেন । যে দিকে নেত্রপাত করি, তাঁহারই অচিন্ত্য ও অনন্ত রচনা লক্ষিত হয় ! বোধ হয়, এই জন্যই পরিণামদর্শী দেবিল ঋষিগণ নগর ও লোকালয় পরিত্যাগ করিয়া বিরল প্রদেশে অথবা বিবিক্ত কাননে বাস করেন এবং স্বাক্টর অস্তুত কাৰ্যকলাপ মনোনিবেশ পূৰ্ব্বক পরিদর্শন করতঃ স্থষ্টিকৰ্ত্তার সহিত কালযাপন করেন, ইহা অপেক্ষ অধিকতর সুখকর অার কি আছে ? এই স্বটির সমস্ত কার্ষ্যেতে সেই সৰ্ব্বশক্তিমান বিশ্ব-রচয়িতার অনন্ত রচনা-কৌশল ও অপার মহিম ব্যক্ত করিতেছে। হীন মনুষ্য স্বীয় চক্ষুদ্বারা এই অসীম জগতের এক সর্ষপ পরিমাণও সুচাকরূপে অবলোকন করিতে সমর্থ হয় না, তথাচ সামান্ত পার্থিব সুখ উপভোগ