গেশের কথা ২১ বাহাকে lation ldea” বলে, ইহা নাকি একেবারেই কাল্পনিক, কোন বছর উপরে প্রতিষ্ঠিত নহে। কোন বিশিষ্ট জাতির নাকি কোন একটা স্বতন্ত্র মূল্য নাই। প্রত্যেক জাতির রক্তের মধ্যে অন্যান্য জাতির বৃক্ত মিশ্রিত আছে। আচার-ব্যবহারে, শিক্ষায় দীক্ষায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে সকল বিষয়েই ভিন্ন ভিন্ন জাতির মধ্যে আদান-প্রদান চলিয়াছে এবং এই আদান-প্রদানের মধ্যে যাহা গড়িয়া উঠিয়াছে, তাৰ কোন বিশিষ্ট জাতির জাতিত্বের ফল নহে; এই জাতিত্বের ভাব পোষণ করিলে নাকি জাতিতে জ্যতিতে সংগ্রাম ও সংঘর্ষ বাড়িয়া যাইবে ও সমগ্র মানবজাতির অমঙ্গলের কারণ হইয়া উঠিবে। কথাটি অনেকদিনকার কিন্তু বৰ্তমান যুগের সঙ্গে সঙ্গেই আবার নূতন করিয়া। প্রচারিত হইতেছে, কাজেই আমাদের দেশেও ছই একজন পণ্ডিত তাহ। ধরিয়া বসিয়াছেন, এবং এই মতের জোরেই আমাদের এই নব-জাগ্ৰত জাতীয় জীবনাকাহাকে হাসিয়া উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিতেছেন। ইউরোপের এই মত ইউরোপে অনেক বড় বড় পণ্ডিত অনেকবার খণ্ডন করিয়াছেন; আাৰি। ভরসা করি, এবারও করিবেন। তাহাদের সমস্যা তাহারাই পূরণ করিবেন। কিন্ধ স্বর্যের চেয়ে বালীর তাপ বেশী; আমাদের দেশে এই সব নকল পণ্ডিতদের পাণ্ডিত্য এত বেশী যে, তাহাদের কোন মতকে কিছুতেই খণ্ডন করা যায়। না! এমন কি, যে রবীন্দ্রনাথ সেই স্বদেশী আন্দোলনের সময় বাঙ্গলার যটি বাঙ্গলার জলকে সত্য করিবার কামনায় ভগবানের কাছে প্রার্থনা করিয়া ছিলেন, সেই রবীক্ষনাথ এখন ্যার রবীন্দ্রনাথ—এবার আমেরিকায় ঐ মতটি নাকি খুব জোরের সঙ্গে জাহির করিয়াছেন। তাহার সমস্ত বস্তৃতাটি কোন কাগজে প্রকাশিত হয় নাই। সুতরাং পড়িতে পারি নাই, Modern Review তে কোন কোন অংশ উজ্জ্বত হইয়াছে, তাহা পড়িয়াছি, হয় ত সমস্ত ন পড়িতে পাইয়া তাহার মতের সম্বন্ধে ভুল ধারণা করিয়াছি, কিন্তু যাহা প্রকাশিত হইয়াছে, সেই মতের, এই ক্ষেত্রে বাঙ্গালী জাতির এই মহাসভায় সভাপতির আাসন হইতে প্রতিবাদ হওয়া উচিত মনে করি। এই সমস্ত মতটাই বস্তুহীন, বিশ্বমানবের ছায়ার উপর প্রতিষ্ঠিত। সমৰ্থ মানবজাতির মধ্যে সত্য জাতৃভাব। জাগাইতে হইলে ভিন্ন ভিন্ন জাতিসমূহকে বিকশিত করিতে হইবে। তাহার পূর্বে এই ভ্রাতৃভাব অসার কল্পনা মাত্র। জাতি তুলিয়া দিলে বিশ্বমানব ধাড়াইবে কোথায় যেমন প্রত্যেক ব্যক্তি বিকাশ না হইলে একটি পরিবারের উন্নতি হয় না, যেমন পরিবার সমূহের উন্নতি না হইলে সমাজের উন্নতি হয় না, যেমন সমাজের উন্নতি ন হইলে