পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ধৰ্ম্মজীবন । טאפי כ: অন্তরে সংগ্ৰাম নাই, তাহার প্রার্থনা ও নাই ; অর্থাৎ যে আত্মোন্নতি-সাধনের জন্য সতত সচেষ্ট নহে, তজ্জন্য বিবিধ প্রকার উপায় অবলম্বন করিতেছে না, সে প্রার্থনার অধিকারীও। নহে। প্রার্থনা অলসের জন্য নহে। যে নিজের সংগ্রামের ভার ঈশ্বরের উপর ন্যস্ত করিতে চায়, তাহার প্রার্থনা পুৰ্ণ হয় না। বৃদ্ধ দায়ুদ রাজা প্রার্থনা করিয়াছিলেন—“হে প্ৰভো ! ! আমি যখন তোমার পথে চলি, তখন আমাকে ধরিয়া রাখ, যেন আমার পদস্থলন না হয়।” যে ব্যক্তি চলিতেছে অন্ততঃ চলিবার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করিতেছে তাহার এ প্রকার প্রার্থনা করিবার অধিকার আছে। যে চলে না, যতটুকু সাধ্য আছে, তদ্বারা চলিতে চেষ্টাও করে না, কিন্তু এই বলিয়া বসিয়া থাকে যে স্বৰ্গ হইতে রথ আসিয়া তাহাকে লইয়া যাইবে, তাহার জন্য রন্থ আসে না। প্রার্থনার অপরিহার্স্য সহচর সংগ্রামে ইহা বিস্মৃত হওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। এই ভাবে যে প্রার্থনা করে সে সাহার্স্য পায় । কিন্তু বর্তমান জ্ঞানালোক-সম্পন্ন ব্যক্তিগণ হয়ত প্রশ্ন করবেন, মানবের প্রত্যেক চিন্তা, প্ৰত্যেক ভাব ও প্ৰত্যেক কাৰ্য্যও তি কাৰ্য্যকারণ শৃঙ্খলে আবদ্ধ; তবে কি ঈশ্বর সেই শৃঙ্খল ভগ্ন করিয়া মানবের প্রার্থনা পূৰ্ণ করেন। ইহার উত্তরে এই মাত্র বলা যায়, যে মানবের ইচ্ছার দ্বীৱ ঈশ্বরোিচ্ছার ব্যাঘাত হয়। না, কিন্তু তঁাহারাই প্রতিষ্ঠিত এক নিয়মের দ্বারা অপর নিয়মের ৰ্যাঘাত প্ৰকার নিরন্তরই ঘটিতেছে। চিকিৎসা ও আরোগ্য, লাভ স্থলে আমরা প্ৰতিদিন তাহা লক্ষ্য করিতেছি । দেহ-মধ্যে