পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vetve 3-8ja 1 Y 3S ধরিয়া পিঞ্জরে বদ্ধ করিলে, বাস্ত্ৰকে অরণ্য হইতে লইয়া অনাবৃত বিস্তীর্ণ প্রাস্তরে ছাড়িয়া দিলে, নিতান্ত অসুখী হয়। এইরূপ ভুগৰ্ত্তবাসী জীবকে যদি আলোকে লইয়া যায়, অথবা আলোকবাসী জীবকে যদি ভূগর্ভে রাখে, তাহারা উভয়ে মহা অসুখে কালব্যাপন করিতে থাকে । দ্বিতীয়তঃ যেখানে জীবের কোনও প্রকার ক্ষতির আশঙ্কা আছে, সেখানে ও জীবের মন কখনও নিরুদ্বেগে বাস করিতে পারে না ; কোন সুখই অকুষ্ঠিত চিত্তে উপভোগ করিতে পারে না। প্রতিদিনই আমরা ইহার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত দর্শন করিতেছি। একটা সহরে একবার রাজপথের কুকুরদিগকে হত্যা করিবার জন্য বিশেষ আজ্ঞা প্রচার হইল। তদনুসারে ঘাতকগণ প্রতিদিন কুকুরদিগকে হত্যা করিতে লাগিল। সেই সময়ে আমাদের একজন বন্ধু সেই সহরে বাস করিতেন। তিনি একদিন দেখিলেন যে তঁহার ভবনের একটা লুক্কায়িত এবং আবর্জন ও অন্ধকারপূর্ণ কোণে একটী কুকুর আশ্রয় লইয়া রহিয়াছে। সে সমস্ত দিনের মধ্যে সেই আশ্রয় হইতে বহির্গত হয় না ; বরং দৈবাৎ যদি কেহ কোনও কাৰ্য্যোপলক্ষে সেইদিকে গমন করে, অমনি সে বিকট আৰ্ত্তনাদ করিতে থাকে, ও মহা শঙ্কা প্ৰকাশ করে । কিন্তু সন্ধ্যার পর যখন ঘাতকদিগের ভয় থাকে না, তখন সে রাজপথে বাহির হয় এবং আপনার আহার অন্বেষণ করে । জীবনের আশঙ্কাতে জীবের সুখকে কিরূপ হরণ করে তাহার কেমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ! মানবের ত কথাই নাই, ভয় নিবন্ধন এই ক্ষুদ্র প্রাণী সমস্ত