পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°S (ሉ Šኃ ধৰ্ম্মজীবন । , হইলে ক্ৰমে মহম্মদ তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার অনুমতি ও অধিকার প্রাপ্ত হইলেন। কিছুদিনের আলাপ ও পরিচয়ের পরেই মহম্মদের প্রতি র্তাহার এমনি অনুরাগ জন্মিল যে তিনি তাহার পত্নীয়ে বৃত হইতে প্ৰস্তুত হইলেন। তঁহাদের বিবাহের প্ৰায় এক বৎসর পরে আবু সোফিয়ান সন্ধি-প্রার্থী হইয়া মেদিনা নগরে স্বীয় কন্যার ভবনে উপস্থিত হইলেন । তখন - কন্যার গুহে একটি সামান্য মাদুর বিছান ছিল। মহম্মদ ঐ মাদুরে বসিতেন। আবু সোফিয়ান মাদুরটিতে বসিতে যাইতেছেন, এমন সময়ে কন্যা ব্যস্ত সমস্ত হইয়া দৌড়িয়া আসিলেন ; বলিলেন—“ও বাবা ! কর কি ঈশ্বর-প্রেরিত মহাজনের আসনে বসি ও না, তোমাকে স্বতন্ত্র আসন দিতেছি।” কি ঘোর পরিবর্তন ! কোথায় মহম্মদের মৃত্যুদৰ্শনার্থ যুদ্ধক্ষেত্রে আগমন, আর কোথায় স্বীয় পিতাকে মহম্মদের আসনে বসিবার উপযুক্ত মনে না করা ! কোথায় রাজ্যোচিত পরিচর্ম্যাকে বিষবৎ বোধ, আর কোথায় ফকীরাণীর জীবনেও স্বৰ্গসুখ বোধ ! এ অস্তৃত পরিবর্তন কেবল প্রেমেরই সাধা । এখন চিন্ত করিয়া দেখি অমর এজগতকে প্ৰিয় স্থান মনে করি কি না ? প্ৰত্যেকে নিজ নিজ হৃদয় পরীক্ষা করিয়া দেখুন জীবন কি মিন্ট বোধ হইতেছে না তিক্ত লাগিতেছে ? এজীবনটা কি কারাবাস না। পিতার গৃহে বাস ? আমরা ডুবিতে যাইতেছি। কি একজন আমাদিগকে তুলিয়া লইতেছেন ? সম্মুখে সর্বনাশ আসিতেছে,কি পিতার করুণ। আমাদের জন্য অপেক্ষা করিতেছে ? যাহারা বলেন যে এ জগতের আদিকারণ যদি কেহ থাকেন।