পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांनद-चौदहन यूथ छू:थ । T·e এই সৎ ও অমৃতের ঘাত প্রতিঘাতের সন্ধিস্থলই ধর্মের উৎপত্তি ; ইহা না থাকিলে ধৰ্ম্ম থাকে না । কিন্তু ইহার অন্তরালে আর একটী প্রশ্ন নিহিত আছে, যাহা যুগে যুগে ধৰ্ম্মসাধকদিগকে মহাসমস্যার মধ্যে নিক্ষেপ করিয়াছে। আমরা চিন্তা করিলেই দেখিতে পাই মানবের বিবেক বা ধৰ্ম্মবুদ্ধি, যাহা মানবের কৰ্ত্তব্য নির্দেশ করে, এবং মানবের বিচার শক্তি, যাহা সত্যাসত্য বিচার করে, উভয়ই ভ্ৰান্তিশীল । মানবজাতির ইতিবৃত্তে এরূপ ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত দেখিতে পাই, যে কোনও জাতি এক সময়ে কোন কার্স্যেকে অতি প্ৰশংসিত কার্স্য মনে করিত, আবার জাতীয় চিন্তার পরিবর্তন সহকারে তাহাকেই নীতিবিগৰ্হিত কাৰ্য্য বলিয়া বর্জন করিয়াছে। এইরূপ ব্যক্তিগত জীবনেও দেখি মানুষ আজ যে কার্স্যকে ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম বোধে আচরণ করিতেছে, কিয়দিন পরে, তাহাকেই ঘোর অধৰ্ম্মবোধে পরিত্যাগ করিতেছে। তবে ধৰ্ম্মবুদ্ধির আদেশের উপরে অটলভাবে দণ্ডায়মান থাকিবার উপায় কোথায় ? বিচার শক্তির ত কথাই নাই।--তাহ আজ যাহাকে সত্যবোধে গ্ৰহণ করে কল্য তাহাকে অসত্যবোধে পরিত্যাগ করে । এখন প্রশ্ন এই মানবের ধৰ্ম্মজীবন ও পরিত্রাণের ন্যায় গুরুতর ব্যাপার কি এমন সন্দেহাকুল ও চঞ্চল ভিত্তির উপরে স্থাপন করা যায় ? অথবা করা কি যুক্তিসঙ্গত ? অনেক সাধক মনে করিয়াছেন, সে এরূপ ভিত্তির উপরে মানবের ধৰ্ম্মজীবন স্থাপিত হইতে পারে না । এই কারণে র্তাহারা মানবের পরিত্রাণকে ভ্ৰান্তিশীল বিচার শক্তি ও ভ্ৰান্তিশীল ধৰ্ম্মবুদ্ধির উপরে স্থাপন না করিয়া ঈশ্বরের