পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Kf3 CW ve NRK * 3 S Ry প্রেরণা কি তন্মধ্যে কিছু নাই ? ইহা কে বলিবে ? যেমন জগতের সমুদায় তাপ সূৰ্য্যেরই অভিব্যক্তি, তেমনি সমুদায় সত্য ও সমুদায় মঙ্গলভােব ঈশ্বরেরই অভিব্যক্তি। ভ্ৰান্তিশীল মানবকে স্বাধীন রাখিয়াও তিনি তাঁহাকে আপনার অভিমুখে লইয়া যান। এই তাহার মহত্ত্ব। তিনি আমাদিগকে পূর্ণ স্বাধীন রাখিয়াও আপন ইচ্ছার পূর্ণ অধীন করিয়া লইতে পারেন, এই তাহার অদ্ভুত কৌশল । একাধারে দেব ও মানব “দ্ব সুপর্ণ সাযুজা সখায়া সমানং বৃক্ষং পরিষস্বজাতে। ” — উপনিষদ । অর্থ-“দুই সুন্দর পক্ষযুক্ত পক্ষী এক বৃক্ষকে আশ্রয় করিয়া আছে ; ইহারা উভয়ে উভয়ের সখা ।” দুই সুন্দর পক্ষযুক্ত পক্ষী অর্থাৎ জীবাত্মা ও পরমাত্মা, এক বুক্ষকে অর্থাৎ, এক দেহকে আশ্রয় করিয়া আছেন । যে ঋষি এই বচন রচনা করিয়াছিলেন, তিনি আপনার মধ্যে নিমগ্ন হইয়া এমন কি দেখিয়াছিলেন, যাহাতে তাহার বোধ হইল। যে এই দেহ-মন্দিরে দুইজন বাস করিতেছে, একজন ফল-ভোক্তা অপর জন দ্রষ্টা । আমরাও কি আত্মদৃষ্টি দ্বারা আত্মপরীক্ষা করিতে অগ্রসর হইলে, ইহা লক্ষ্য করিয়া থাকি ? মানবাত্মার দুই একটী বিভাগ আছে, যাহার প্রতি দৃষ্টি