পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদ্ধ ধৰ্ম্ম ও মুক্ত ধৰ্ম্ম । to Vo চিত্তকে আনন্দে পূর্ণ করে, ও মনকে সমুদায় ক্ষুদ্র বিষয়ের আসক্তি হইতে উদ্ধার করে । , কিন্তু এই আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম কেবল অন্তর রাজ্যেই বন্ধ থাকে না। আত্মাতে ধৰ্ম্মের স্মৃৰ্ত্তি হইলেই, সাধকদিগের চিত্তে এই চিন্তার উদয় হয় যে, সেই অন্তরস্থিত আদর্শকে মানবের ও মানব সমাজের বাহিরের জীবনে প্রয়োগ করিলে কি ফল উৎপন্ন করিবে ? তদুরা কি মানুষকে পাপ তাপ হইতে উদ্ধার করিতে পারা যাইবে ? এইরূপ চিন্তা হইতেই শাস্ত্র ও দর্শন রচনা, সাধন-প্ৰণালী নির্দেশ ও বিবিধ সামাজিক রীতি নীতির সৃষ্টি। যদিও আমাদের দেশে এরূপ অনেক সাধক আছেন, যাহারা ধৰ্ম্মের আধ্যাত্মিক ভাবে আপনারাই তুষ্ট, জীবের দুঃখের প্রতি দৃষ্টি নাই, তথাপি ইহা ঈশ্বরের করুণা বলিতে হুইবে যে সকল সাধক এ ভাবাপন্ন নহেন। তঁহাদের অনেকে জীবান কম্প-পরবশ হইয়া আপনাদের অন্ত নিহিত সুমিষ্ট ধৰ্ম্মকে জগতে বিতরণ করিতে প্ৰয়াসী হইয়াছেন। মহাত্মা বুদ্ধ ছয় বৎসর কাল নিরঞ্জন নদীর তীরে অতিবাহিত করিয়াছিলেন, মনে করিলে জীবনের অবশিষ্টকাল কি সেই নদী তীরেই ধ্যানস্থ হইয়া যাপন করিতে পারিতেন না ? কিন্তু কে তঁহাকে সে বিশ্রাম সুখে জলাঞ্জলি দিতে বাধ্য করিল ? তাহার শিষ্যগণ উত্তর করিবেন-জীবান,কম্পা। ঠিক কথা, এই সকল মহাজনের অন্তরে জীবান কম্পা এত অধিক ছিল যে, তাহা তঁহাদিগকে ধৰ্ম্মের আধ্যাত্মিক ভাগ লইয়া আত্ম-তৃপ্ত হইয়া