পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাল্পে, সুখমস্তি । 3)0ܘܢ সেইটী তার সার কথা ! সেটার বন্দোবস্ত যতক্ষণ না হয় ততক্ষণ কোনও সৌজন্যে তার মন ভুলে না। অথবা মনে কর, একজন প্ৰকৃত তত্ত্ব জিজ্ঞাসু ও জ্ঞানাকাঙক্ষী ছাত্র গুরু-সন্নিধানে কোন কোনও দুর্বোধি বিষয়ের অর্থ জানিতে চাহিয়াছে । গুরুর নিজেরই সে বিষয়ে পরিষ্কার জ্ঞান নাই ; অথচ ছাত্ৰ-সন্নিধানে তাহা ব্যক্ত করিতে ইচ্ছক নহেন ; তিনি বৃথা বাগাড়ম্বর করিয়া ছাত্রকে ভুলাইতে চাহিতেছেন, স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্যের কত কথা আনিতেছেন, কত দৃষ্টান্ত ও উদাহরণ দিতেছেন, কিন্তু বুদ্ধিমান ছাত্র অতৃপ্ত থাকিয়া মনে মনে বলিতেছে-“বৃথা বাগাড়ম্বরে ফল কি, আসল কথার ত কোনও মীমাংসা হইল না ।” তেমনি প্ৰকৃত ধৰ্ম্মার্থী ব্যক্তিদিগেরও অস্তরে একটা আসল কথা থাকে সেটার কোনও উপায় না হইলে, বাজিরের ধৰ্ম্মের ক্রিয়া সকলকে বৃথা আড়ম্বর বলিয়া মনে হয়। তাহারা অল্পে সন্তুষ্ট হইতে পারেন না । \ ধৰ্ম্মের ভিতরকার এই আসল কথাটা কি ? আসল কথাটা বিষয়াসক্তির অভাব অর্থাৎ প্ৰধান মনটা ঈশ্বরে ও গৌণ মনটা সংসারে রাখা । যাহার প্রধান মনটা সংসারে গৌণ মনটা ঈশ্বরে সেই বিষয়ী, এবং যাহার প্রধান মনটা ঈশ্বরেও গৌণ মনটা সংসারে তিনিই ধাৰ্ম্মিক। দৃষ্টান্তস্বরূপ মনে কর, স্ত্রী পুত্র পরিবার লইয়া বাস করিতে হইলেই গৃহস্থ মাত্রেরই বাসভবনে একটা রন্ধনশালা রাখিতে হয় ; তাহা অনিবাৰ্য্য রূপে প্রয়োজনীয়। গৃহস্থ মাত্ৰেই স্বীয় স্বীয় রন্ধনশালাকে আপনাদের । কাৰ্য্যের উপযোগী করিয়া লয়। কিন্তু তাহ বলিয়া কেহ ।