পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨r ধৰ্ম্মজীবন। জীবনেই এই বিশেষ ভােব পরিলক্ষিত হয়। র্তাহারা এক এক জন এক এক মহাসত্য প্ৰাণে ধারণ করিয়াছেন যাহার জন্য জীবন যৌবন সকলই বিসর্জন করিয়াছেন। তাহারা যেন ঈশ্বরের কি এক মহা আহবান ধবনি শুনিয়াছেন যাহার জন্য ধন মান প্ৰাণকে অতি তুচ্ছ জ্ঞান করিয়াছেন। জগতের প্রত্যেক সাধুর জীবনেই এই ভাব দেখিতে পাই। তাহার। অধৰ্ম্মকে ভয় করেন ; অন্যায়ের গন্ধ পৰ্য্যন্ত তাহারা সহ্য করিতে পারেন না। মানবদেহ পক্ষাঘাত-রোগাক্রান্ত হইলে যেমন অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়ে, হস্ত · পদাদি অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গের কায্যকারিণী শক্তি লোপ প্ৰাপ্ত হয়, জগতের সাধুগণও অসত্যের গঙ্গা পাইলে কি এক প্রকার আধ্যাত্মিক পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হুইয়া পড়েন, যাহাতে তাহদের আত্মা একেবারে অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়ে। মার্জার শাবককে যেমন বহু চেষ্টা এবং পরিশ্রম করিয়াও জলে লইয়া যাওয়া কঠিন, তাহার গলায় দড়ি। বাধিয়া যদি ক্রমাগত টানাটানি করা যায়, তথাপি সে যেমনজলে যায় না, সাধুদিগকেও সেইরূপ বহু আয়াস বহু চেষ্টা দ্বারাও অন্যায়ের পথে লইয়া যাওয়া যায় না । ইহারা সত্যের সেবক ; সত্যে ইহাদের বাস, সত্যে ইহাদের স্থিতি, সত্যই ইহাদের প্রধান অবলম্বন। সাধু মহাজনগণ ব্যক্তিগত ভাবে যাহা সাধন করিয়াছেন, আমাদিগকে সামাজিক ভাবে তাঁহাই করিতে হইবে । ইহাই আমাদের মহালক্ষ্য । আমাদের আত্মা যাহাতে তাহার সান্নিধ্য লাভ করিতে পারে, তজ্জন্য কঠোর সাধনে সর্বদা নিযুক্ত