পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

verty-ff VD QO প্রতিফলিত হইয়া কিরূপ বিচিত্র বর্ণ উৎপন্ন করে, যখন সে তাহা প্ৰত্যক্ষ করে, কাচখণ্ডে সূৰ্য্য কিরণ ধরিয়া দেখে, এবং সেই সঙ্গে মেঘ ও বৃষ্টির প্রকৃতি এবং সূৰ্যকিরণের স্বভাব ও কাৰ্য্যের বিষয় অবগত হয়, তখন তাহার জ্ঞান পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় ! আত্ম-জ্ঞান সম্বন্ধে ও সেইরূপ । যে আত্মা জগতেরূপ বহিঃপ্রাঙ্গণে ক্রীড়া করিতেছে, অভিনয়কারী নাটের ন্যায় নানা বেশ ধারণ করিতেছে, হর্ষ শোকের আন্দোলনে আন্দোলিত হইতেছে, স্বাভাবিক প্রবৃত্তিকুলের বশবৰ্ত্তী হইয়া চলিতেছে, ইহাকেই যদি আত্মা বলিয়া জান, এই জীবনকেই যদি একমাত্র জীবন মনে কর, ইহার অতিরিক্ত যদি কিছু না জানি, তবে আত্মাকে জানাই হইল না। যেমন ইন্দ্ৰধনুকে প্রকৃতভাবে জানিবার জন্য মেঘে ও বৃষ্টিতে প্ৰবেশ করিতে হয়, সূর্যকিরণের প্রকৃতির মধ্যে নিমগ্ন হইতে হয়, তেমনি আত্মাকে প্রকৃতভাবে জানিতে হইলে পরমাত্ম-স্বরূপে নিমগ্ন হইতে হয়। যখন আমরা জ্ঞান-নেত্ৰে দেখিতে পাই, যে পরমাত্মা হইতে আত্মাকে বিযুক্ত করিয়া চিন্তা করিবার যে নাই, এককে দেখিতে গেলেই অপরকে দেখিতে হয়, এককে ভাবিতে গেলেই অপরকে ভাবিতে হয়, যখন বুঝিতে পারি যে, এই জীবাত্মা জগতের দিকে সীমাবদ্ধ, কিন্তু তাহার দিকে অনন্তের সহিত মিশ্রিত, তখন অধ্যাত্ম-যোগের প্রথম সোপানে পদার্পণ করি। সত্য জ্ঞান ভিত্তি স্থাপন করিলে প্রেম তদুপরি কার্য) করিতে আরম্ভ করে । তাহার মঙ্গল ভাব প্রেমের উপজীব্য পদাৰ্থ । সেই মঙ্গল ভাবের স্মরণে, চিস্তনে ও কীৰ্ত্তনে যখন