পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উন্নত আদর্শ, সামাজিক ও পারিবারিক। ዓvo গিৰ্ব্বত ব্যক্তির এক প্রকার স্বাধীন ভাব আছে যাহা বলে, “আমা, অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কেহ নাই, আমি কাহার মুখাপেক্ষা করিব ?” এ স্বাধীনতা সে প্রকৃতির নহে। ইহা প্ৰেম-সস্তুত স্বাধীনতা ; সুতরাং বিনয় ইহার ভুষণ । সত্যে বিমল অনুরাগ জন্মিলে মানব যে আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা লাভ করে, ইহা সেই স্বাধীনতা । যিনি অকপট হৃদয়ে সত্যে প্রীতি স্থাপন করিয়াছেন, তিনি স্বাৰ্থ, সুখাসক্তি ও লোক ভয়ের উপরে উঠিয়াছেন, সুতরাং তিনি স্বাধীন ; ইহা সেই স্বাধীনতা । প্ৰকৃত স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এই-ঈশ্বর প্রত্যেককে মূলধন স্বরূপ দেহ মনের যে কিছু শক্তি সামর্থ্য দিয়াছেন সে তাহ নিজ জীবনের মহত্ত্ব সাধনের জন্য নিয়োগ করিবে ; সমাজের পক্ষে তাহার প্রতিকূল না হইয়া অনুকূল হওয়াই কৰ্ত্তব্য। সত্যে ও ঈশ্বরে বিমল প্রীতি না জন্মিলে মানবাত্মা আসক্তি ও ভীতির হস্ত হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে না। তখন সে বন্ধন দশাতেই থাকে ; সুতরাং তখন তাহার স্বাবলম্বন শক্তি ও থাকে না । সে বাহিরে দেখিতে স্বাধীন হইলেও পরাধীন। যে দুর্বলতাবশতঃ নিজ মহত্ত্ব লাভের ভার নিজের উপরে না। রাখিয়া অপরের স্কন্ধে দেয়, সেও স্বাধীন নহে। এই জন্যই উপনিষদকার ঋষিগণ বলিয়াছেন “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” অর্থাৎ যাহার স্বাবলম্বনের শক্তি নাই, পরমাত্মা সেরূপ ব্যক্তির প্রাপ্য নহেন। এই যে অধ্যাত্মিক স্বাধীনতা ইহার উপরে পারিবারিক ও সামাজিক সর্ববিধ স্বাধীনতা প্ৰতিষ্ঠিত। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উন্নত আদর্শের তৃতীয় লক্ষণ উদারতা । জগতে