পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । ILO తూ*-****ూ -* ছিলেন—তাহা গ্রহণ করিয়া আর এক পদ অগ্রসর হইল। এইরূপে সাংখ্যদর্শনের শেষ সিদ্ধান্ত দ্বৈতবাদ ছাড়াইয়া চরম একত্বে পহছিল। কপিলের সময়ের পূর্বে ভারতে যে সকল ধৰ্ম্মতত্ত্ব প্রচলিত ছিল ( আমি অবশ্য পরিচিত ও প্রসিদ্ধ ধৰ্ম্মতত্ত্বগুলিকে লক্ষ্য করিয়া বলিতেছি, ধৰ্ম্মনামের অযোগ্য খুব নিম্ন ধারণাগুলি নহে ) তাহাদের মধ্যে আমরা দেখিতে পাই, তন্মধ্যে প্রাথমিক শ্রেণীগুলির ভিতরও প্রত্যাদেশ, ঈশ্বরাদিষ্ট শাস্ত্র প্রভূতি ধারণা ছিল । অতি প্রাচীনতম অবস্থায় স্থষ্ট্রির ধারণা বড়ই বিচিত্র—তাহা এই যে, সমগ্র জগৎ ঈশ্বরেচ্ছায় শূন্ত হইতে স্থষ্ট হইয়াছে, আদিতে ‘ এই জগৎ একেবারে ছিল না, আর সেই অভাব বা শূন্য হইতেই এই সমুদয় আসিয়াছে। পরবর্তী সোপানে আমরা দেখিতে পাই, এই সিদ্ধান্তে সন্দেহ প্রকাশ করা হইতেছে । বেদান্তের প্রথম সোপানেই এই প্রশ্ন দেখিতে পাওয়া যায়, অসৎ হইতে সতের উৎপত্তি কিরূপে হইতে পারে ? যদি এই জগৎ সৎ অর্থাৎ অস্তিত্বযুক্ত হয়, তবে ইহা অবশ্য কিছু হইতে আসিয়াছে। এই প্রাচীনের সহজেই দেখিতে পাইলেন, কোথাও এমন কিছুই নাই, যাহা কিছু না হইতে উৎপন্ন হইতেছে। মনুস্থ্যহস্তের ৰাৱা যাহা কিছু কাৰ্য্য হয়, তাহাতেই ত উপাদানকারণের erब्रांजन इज़ । অতএব প্রাচীন হিন্দুরা স্বভাবতঃই, এই জগৎ বেলুপ্ত হইতে স্থষ্ট হইয়াছে, এই প্রথম ধারণা ত্যাগ করলেন আর এই জগৎস্থষ্টির কারণীভূত উপাদান কি, তাহার অন্বেষ৭ে