পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q、 ধম্মাবজ্ঞান | তিনি কোন কারণের কার্য্যস্বরূপ—উৎপন্ন পদার্থ হইলেন । অতএব যদি তিনি সীমাবদ্ধ না হন, তবে তিনি সর্ববব্যাপী । কপিলের মতে পুরুষের সংখ্যা এক নহে, বহু । অনন্তসংখ্যক পুরুষ রহিয়াছেন, আপনিও একজন পুরুষ, আমি একজন পুরুষ, প্রত্যেকেই এক একজন পুরুষ—উহারা যেন অনন্তসংখ্যক বৃত্তস্বরূপ। তাহার প্রত্যেবট আবার অনন্ত । পুরুষ জন্মানও না, মরেনও না । তিনি মনও নহেন, ভূতও নহেন। আর আমরা যাহা কিছু জানি, সকলই তাহার প্রতিবিম্বস্বরূপ । আমরা নিশ্চিত জানি যে, যদি তিনি সর্বব্যাপী হন, তবে তাহার জন্মমৃত্যু কখনই হইতে পারে না। প্রকৃতি র্তাহার উপর নিজ ছায়া—জন্ম ও মৃত্যুর ছায় প্রক্ষেপ করিতেছে, কিন্তু তিনি স্বরূপতঃ নিত্য। এতদূর পৰ্য্যন্ত আমরা দেখিলাম, কপিলের মত অতি অপূৰ্ব্ব । এইবার আমরা এই সাংখ্যমতের বিরুদ্ধে যাহা যাহা বলিবার আছে, তদ্বিষয়ে আলোচনা করিব । যতদূর পর্য্যন্ত দেখিলাম, তাহাতে বুঝিলাম—এই বিশ্লেষণ নির্দোষ—ইহার মনোবিজ্ঞান অখণ্ডনীয়—উহার বিরুদ্ধে কোন আপত্তি হইতে পারে না । আমরা কপিলকে এই প্রশ্ন করিয়াছিলাম, প্রকৃতিকে কে স্বষ্টি করিল ? অার তাহার উত্তর এই পাইলাম যে, উহা স্বস্ট নহে। তিনি ইহাও বলিয়াছেন যে, পুরুষও অস্বস্ট ও সর্ববব্যাপী, আর এই পুরুষের সংখ্যা অনন্ত । আমাদিগকে সাংখ্যের এই শেষ সিদ্ধান্তটার প্রতিবাদ করিয়া উৎকৃষ্টতর সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হুইবে এবং তাহা করিলেই আমরা বেদান্তের অধিকারে আলিয়া,