বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( १8 ) এই যে আসক্তি ও বিরক্তি ইহারও মূল একই। কেন না রূপের প্রতি আসক্তি আছে বলিয়। অভাব হইলে বিরক্তি' হয় । সুতরাং এ বিরক্তিও আসক্তিমূলক । রূপবৎ বস্তুর প্রতি যে দর্শনেন্দ্রিয়ের আসক্তি ইহা দূষিত নহে। এটি তাহার স্বভাব। কিন্তু এই স্বভাবও বিবেকবর্জিত হইলেই দূষিত হইবার সম্ভব । যখন স্বভাব বিবেকসহযোগে কার্য্য করে, তখন তাহাকে দেবভাব এবং বিবেকবজিত হইলে তাহাকে পশুভাব বলা যায়। যদি আমরা কোন নীচপ্রবৃত্তিচরিতার্থতার জন্য অন্ধভাবে ইন্দ্রিয়ের অনুসরণ করি এবং তদনুসারে অস্কামুরাগে আক্লষ্ট হই, তবেই পশুত্বরূপ নরকে অক্তি সহজে নিক্ষিপ্ত হইয়া থাকি । কেন না তাহাতে বিরেকের সাহায্য থাকে না । যাহান্তে বিবেকের সাহায্য থাকে, তাহার অন্ধভাব থাকে না । অন্ধত না থাকিলে তামঙ্গল আসিতে পারে না । সুতরাং যদি বিবেকের পবিত্র উপদেশ গ্রহণ করিয়া ইন্দ্রিয়গণের অনুসরণ করি, তবে অতি সহজে দেবত্বলাভে সমর্থ হইতে পারি। কেন পারি ? বিবেক ইন্দ্রিয়ের প্রয়োজন ও ভোগের পরিমাণের কথা বলিয়া দিতে পারে এই জন্য । r এ বিষয়টি আরো কিঞ্চিৎ স্ফুট হওয়া আবশ্যক। এই জন্য একটি দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিতেছি। মনে কর, সম্মুখে, একটি সুন্দর পুরুষ কি সুন্দরী স্ত্রীর মূৰ্ত্তি দর্শন করি