বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २०१ ) পথিক প্রান্তর পার হইলে, অথবা কোন সঞ্চিতসম্বল ব্যক্তির সাক্ষাৎ পাইলে তৃষ্ণ দূর করিয়া জীবন বচাইতে পারিৰে আশা আছে। চিরকুল্প ব্যক্তিও এক সময়ে এই পৃথিবীতেই পূৰ্মিনোরথ হইতে পারে। কিন্তু যাহার হৃদয়ে ঈশ্বরবিরহনল প্রজ্বলিত হইয়াছে, এ পৃথিবীর জলে কি তাহার সে হৃদয় শীতল হইতে পারে, পৃথিবীর অন্ন পান কি তাহার ক্ষুধা তৃষ্ণ নিবারণ করিতে পারে, এই পৃথিবীর চিকিৎসক কি তাহার আত্মার রোগ দূর করিতে পারে, কখনও না । সেই সম্পদ প্রদান করিবার পৃথিবীর অধিকার নাই। দীন পৃথিবী সেই পরম সম্পদ দেবদুল্লভ ধন কোথায় পাইবে ? তাহার যাহা নাই সে কোথা হইতে তাহ প্রদান করিবে ? এই প্রকারে সাধক পৃথিবীর অতীত প্রদেশে উত্থিম্ভ হইয়। এখানকার সমস্ত আশ। ভরসা হইতে বিমুক্ত হন। যখন তিনি মানুষ হইয়া ক্ষুদ্র কীট হইয়। সেই স্বর্গের বরণীয় দেবতার প্রেমের ভিকারী হল, তখন র্তাহার মনে ঈশ্বরের ভূম মহানৃ ভাব ও বরণীয়ত, নিজের পাপময় অনুপযুক্ততা, এবং সংসারে ঈশ্বর সাধনের প্রতিকূলতা প্রভৃতি উদিত হইতে থাকে । এই সকল কারণে ঘতই তিনি ঈশ্বরপ্রাপ্তি কালসাপেক্ষ বলিয়া চিন্তা করেন, প্তম্ভই তাহার হৃদয়ের উদ্বেগ বৰ্দ্ধিত হইয় উঠে। এই সময়ে তাহার হৃদয়ের গত্তি নিস্তাভ অসংযত ভাৰে ৰখা তথা