( २8 ) ছইয়াছে, ভূতের নিজের চিন্তা ভগবাদি নাই। তেতিক" পরমাণুসকল অন্য প্রকৃতির অনুগত। জ্ঞানবলে প্রযুক্ত ন ছইয়। তাছা হইতে অবিতর্থ মঙ্গল আসিতে পারেন। আবার ইছাও বলা হইয়াছে যে ভূতের নিজের কোন প্রয়োজন মাই, প্রয়োজন চেতনের । সুতরাং যাহার জ্ঞান আছে, প্রয়োজনও তাছারই আছে। যাহার প্রয়োজন সে অশ্ব নহে, প্রকৃতি অশ্ব । যাহার প্রয়োজন সে যদি অন্ধভাবে না চলে, তবে তাছার মঙ্গল উসীম। জগতে সকল ঘটনাই নিয়মানুসারে ঘটে। ভৌতিক বস্তু সুফল প্রসব করে নিয়মে, আবার যখন দেখি তাছা হইতে কুফল জন্মিল, তখন বলি নিয়মের ব্যতিক্রমে। তবে কোথায় কি নিয়মে কোন ফল ফলিল, সে সকল অবগত হইবার শক্তি মনুয্যের আছে। মনুষ্য জ্ঞানবলে সেই সকল নিয়ম হইতে আপন উপযুক্ত ফল বাছির করিয়া লইতে পারে। যে বিদ্যুৎ অন্ধভাবে পরিচালিত হইয় লোকের প্রাণ বিনাশ করে, সেই বিদ্যুৎ জ্ঞানের আয়ত্ত হইয় প্রাণ বিতরণ করে, এবং ভৃত্যুবৎ দেশে দেশে সংবাদ বম্বন করে। যে বিষ অন্ধ ভাবে প্রযুক্ত হইয়া প্রাণ সংস্থার করে, সেই বিষ জ্ঞানপ্রভাবে প্রযুক্ত হুইয়া প্রাণদান করে । অগ্নি বায়ু জল ও মৃত্তিক প্রভৃতি ভৌতিক বস্তুসকল প্রাকৃতিক নিয়মের অনুগত হইলেও মনুষ্য ইচ্ছামতে তারাদিগের পরিমাণের হ্রাস ব্লদ্ধি ; স্থল বিবেচনা করিয়া
