পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( షిసి ) পূৰ্ব্বাচার্য্যগণ চেতন ও অচেতন দুই শ্রেণীতে পদার্থ সকল বিভক্ত করিয়াছেন। ইয়াতে মনুষ্যপশুপ্রভৃতি এক শ্রেণী ও বৃক্ষপ্রস্তরাদি সমুদায় অপর শ্রেণী ভুক্ত হুইয়াছে । যথার্থরূপে ৰিভাগ করিলে, নিম্নতর উদ্ভিদ সজীব জড় এবং কীটপতঙ্গগোমমুয্যপ্রভৃতিকে সাধারণতঃ প্রাণী বলা যায়। কেমন উন্থাদিগের মধ্যে তারতম্যে চেত্তনের ক্রিয়া আছে। চেতনতৃসম্বন্ধে মনুষ্য সৰ্ব্বাপেক্ষ উচ্চ 1 কেনন। আর সকলের মধ্যে যাছা দেখিতে পাওয়া যায় না, ভগছাতে তাছ আছে। তাহাতে জ্ঞান আছে, বুদ্ধি আছে, ভাব আছে, ইচ্ছা আছে। সুতরাং বোধবিশিষ্ট জ্ঞানী মনুষ্যদিগকে পশুপক্ষীর শ্রেণী কুক্ত করাতে মনুষ্যজাতির বিশেষ অগৌরব করা হইয়াছে। এই দোষপরিহারমানসে প্রাণিজগৎসম্বন্ধে একটী স্বতন্ত্র অধ্যায় লিখিত ছইতেছে। ইহাতে উছার সাধারণ ভাবগুলি কিছুই উল্লিখিত হইবে। পূৰ্ব্বকালের বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতগণ জগৎকে চেতন অচেতন দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন । সুতরাং এই সুযোগে পুরাণপ্রণেতাগণ পশুপক্ষীর পরলোক ও পাপপুণ্য নির্দেশ করিয়াছেন : এবং মনুষ্যদিগকেও পাপ করিলে পশুপ্রভৃতি নিকৃষ্ট যোনি প্রাগু হুইবার ভয় দেখাইয়াছেন । ঐ সকলের অবৈধত প্রতিপন্তু করিবার মানসেই প্রাণিজগৎ বলিয়া একটী স্বতন্ত্র অধ্যায় করা আবশ্যক, নতুবা প্রয়োজন ছিলনা। আমরা স্থষ্টিকাৰ্যের প্রতি মনোযোগ দিয়া চিন্ত