বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( بھی ) বিহীন আত্মার স্থষ্টি করেন নাই। যে অবস্থায় আত্মা স্থাপিত হইয়াছে, এ অবস্থায় শরীর না থাকিলেই চলে না। কৰুণাময় পরমেশ্বর জাগতিক কার্যকলাপের যেরূপ ব্যবস্থা করিয়াছেন, সেরূপ না করিয়া অন্য রূপ করিলে কি হইত, তাছা চিন্তা করিবার আমাদের অধিকার নাই। কিন্তু উগহার প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থার এক বিন্দুও অন্যথা করিলে আমাদিগের রাশি রাশি বিঘ্ন বিপত্তি আসিতে পারে । বৰ্ত্তমানবস্থায় সেই ব্যবস্থার বাহিরে এক পদও অগ্রসর হইবার "আমদিগের ক্ষমতা নাই, ইছাই আমাদিগের চিন্তনীয় । জগতে আত্মার অবস্থান জন্য ঈশ্বর যে রূপ ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন, এবং তাছার পক্ষে যে সকল কৰ্ত্তব্য নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন, সেই সমস্ত নিৰ্ব্বাছ করিবার জন্য যেমন শরীর থাকা আবশ্যক, তেমনি শরীরের আবার ইন্দ্রিয় থাকা প্রয়োজন। ইন্দ্রিয়ানুরূপ আবার ইন্দ্রিয়ের ৱত্তি থাকা আবশ্যক। ইন্দ্ৰিয়ৰ্বত্তি ও ইন্দ্ৰিয়বোধ থাকিলেই তাছার বিষয় থাক চাই । যাহার পক্ষে যাছ আবশ্যক, তাহার পক্ষে তাছা আছে, কাহারও এক বিন্দু অভাব মাই । ইন্দ্রিয়পরিরঞ্জিত এই শরীর লইয়া আত্মা শরীরী বলিয়া অভিহিত হন। শরীর আত্মার রথ, মন সারধি, ইন্দ্রিয়গণ অশ্ব, আত্মা এই শরীররথে চড়িয়া জগতে ভ্রমণ করেন ; অথবা শরীর আত্মার কার্যসাধক যন্ত্র, শরীরমন্ত্র স্বারা আত্মা জগতের কার্য্য করেন।