পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চেয়ে দেখি, আবার মেঘের মত চুপে-চুপে ভেসে চলে যাই এক ক্ষীণ বাতাসের দলবল আহবানে কোন দিকে পথ বেয়ে —আমাদের কেউ কি তা জানে। ফ্যাকাশে মেঘের মত চাঁদের আকাশ পিছে রেখে চলে যাই;—কোন এক রান হাত আমাদের টানে ? পাখির মায়ের মত আমাদের নিতেছে সে ডেকে আরো আকাশের দিকে,—অন্ধকারে-অন্য কারো আকাশের থেকে ! একদিন বুজিবে কি চারিদিকে রাত্রির গহবর!— নিবন্ত বাতির বকে চুপে-চুপে যেমন অাঁধার চলে আসে,—ভালোবেসে—নয়ে তার চোখের উপর চুমো খায়—তারপর তারে কোলে টেনে লয় তার;— মাথার সকল স্বপন—হদয়ের সকল সঞ্চার একদিন সেই শান্য সেই শীত-নদীর উপবে ফরাবে কি ?—দলে-দলে অন্ধকারে তবুও আবার আমার রক্তের ক্ষুধা নদীর ঢেউয়ের মত স্বরে গান গাবে,—আকাশ উঠিবে কোপে আবার সে সঙ্গীতেব ঝড়ে। পথিবীর—আকাশের পরোনো কে আত্মার মতন - জেগে আছি;—বাতাসের সাথে-সাথে আমি চলি ভেসে, পাহাড়ে-হাওয়ার মত ফিরিতেছে একা-একা মন, সিন্ধব ঢেউয়ের মত দাপরের সমদ্রের শেষে চলিতেছে;—কোন এক দীর দেশ-কোন নিরদেশে জন্ম তার হয়েছিল,—সেইখানে উঠেছে সে বেড়ে; দেহের ছায়ার মত আমার মনের সাথে মেশে কোন বন!—এ-আকাশ ছেড়ে দিয়ে কোন আকাশেবে খুজে ফিরি!—গহোর হাওয়ার মত বন্দী হয়ে মন তব ফেরে! গাছের শাখার জালে এলোমেলো অধিারের মত হৃদয় খুজিছে পথ, ভেসে-ভেসে,—সে যে কারে চায়! হিমের হাওয়ার হাত তার হাড় করিছে আহত,— সে-ও কি শাখার মত—পাতার মতন ঝরে যায় । বনের বকের গান তার মত শব্দ করে গায় । হৃদয়ের সরে তার সে যে কবে ফেলেছে হারায়ে! জীবন-মৃত্যুর মাঝে চোখ বজে একাকী দাঁড়ায়ে; C)는