পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান দিয়ে তার শব্দ শনে, দাঁড়ায়েছিলাম গিয়ে মাঘরাতে,—কিবা ফালগনে। দেশ ছেড়ে শীত যায় চলে সে সময়—প্রথম দখিনে এসে পড়িতেছে বলে রাতারাতি ঘন্ম ফেসে যায়, আমারো চোখের ঘমে খসেছিল হায়,— বসন্তের দেশে জীবনের—যৌবনের –আমি জেগে—ঘমন্ত শায়ে সে ! জমানো ফেনার মত দেখা গেল তারে নদীর কিনারে! হাতির দাঁতের গড়া মতির মতন শয়ে আছে—শয়ে আছে—শাদা হাতে ধবধবে সতন রেখেছে সে ঢেকে ! বাকিটুকু—থাক—আহা,—একজনে দেখে শতধন-দেখে না অনেকে এই ছবি ! দিনের আলোয় তার মছে যায় সবি!— আজো তব খুজি কোথায় ঘুমন্ত তুমি চোখ আছ বাজি! কুমারের শেষ হলে পরে,— আর এক দেশের এক রপেকথা বলিল আর এক জন কহিল সে,—উত্তর সাগরে আর নাই কেউ!— জ্যোৎসনা আর সাগরের ঢেউ হাতে হাত ধ’রে সেইখানে ; কখন জেগেছে তারা—তারপর ঘমোল কখন ! ফেনার মতন তারা ঠান্ডা—শাদা,— জড়ায়ে জড়ায়ে যায় সাগরের জলে! ঢেউয়ের মতন তারা ঢলে! সেই জল-মেয়েদের সতন ঠান্ডা—শাদা—বরফের কুচির মতন! তাহাদের মখে চোখ ভিজে,— ফেনার শেমিজে তাহাদের শরীর পিছল! ○ 。