পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানি আমি,—আমার নিকটে তুমি এসেছিলে তাই। তারপর,—কখন খ:জিয়া পেলে কারে তুমি!—তাই আস নাই আমার এখানে তুমি আর! একদিন কত কথা বলেছিলে—তব বলিবার সেইদিনো ছিল না তো কিছল ;–তব সেইদিন আমার এ-পথে তুমি এসেছিলে,—বলেছিলে কত কথা,— কারণ, তখন তুমি ছিলে বন্ধনহীন ; আমার নিকটে তুমি এসেছিলে তাই ; তারপর—কখন খুজিয়া পেলে কারে তুমি,--তাই আস নাই! তোমার দচোখ দিয়ে একদিন কতবার চেয়েছ আমারে। আলো-অন্ধকারে তোমার পায়ের শব্দ কতবার শুনিয়াছি আমি! নিকটে-নিকটে আমি ছিলাম তোমার তব সেইদিন,— আজ রাত্রে আসিয়াছি নামি এই দুর সমুদ্রের জলে! যে-নক্ষত্র দেখ নাই কোনোদিন, দাঁড়ায়েছি আজ তার তলে! সারাদিন হাঁটিয়াছি আমি পায়ে-পায়ে বালকের মত এক,—তারপর,—গিয়েছি হারায়ে সমুদ্রের জলে, নক্ষত্রের তলে ! রাত্রে,—অন্ধকারে! —তোমার পায়ের শব্দ শুনিব না তব, আজ,—জানি আমি,— অ জ তব আসিবে না খুজিতে আমারে! তোমার শরীর,— তাই নিয়ে এসেছিলে একবার ; –তারপব, মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন দিকে জানিনি তা—হয়েছে মলিন চক্ষ এই –ছিড়ে গেছি,-ফোঁড়ে গেছি—পথিবীর পথে হোটে-হে’টুে কত দিন রাত্রি গেছে কেটে ! কত দেহ এল- গেল,—হাত ছয়ে-ছায়ে দিয়েছি ফিরায়ে সব;– সমুদ্রের জলে দেহ ধয়ে নক্ষত্রের তলে বসে আছি—সমুদ্রের জলে দেহ ধয়ে নিয়া তুমি কি আসিবে কাছে প্রিয়া! Ն Ե