বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՀՀ নন্দনে নরক খ্যাতি ও অর্থোপাজ্জনে সমর্থ না হইলে, তুমি যে আমাকে লাভ করিতে পারিবে, সে আশা নাই।” নওরোজি বলিলেন, “একথা আমার স্মরণ আছে ” কর্ণেলিয়া বলিল,“স্মরণ রাখিও—তুমি আমার প্রণয়ী একথা ভাবিয়া যেন আমাকে কোনও দিন অনুতপ্ত বা লজ্জিত হইতে না হয় ।” নওরোজি বলিলেন, “আমি তোমার পিতাকে জানি। হয়ত ভবিষ্যতে আমি অর্থে ও গৌরবে তোমাকে বিবাহ করিবার যোগ্যতা লাভ করিতে পারি ; কিন্তু আমি সন্ত্রান্ত বংশজাত নহি । তোমার পিতার আভিজাত্যের অভিমান অত্যন্ত অধিক ; তিনি আমার ন্যায় অজ্ঞাত কুলশীল যুবকের হস্তে কোনও দিন কন্যা সম্প্রদান করিবেন, এ আশ। স্বপ্নেরও অগোচর।” T কর্ণেলিয়া বলিল, “এখন যদি তুমি এ সকল কথা ভাবিয় কাতর হও, তাহা হইলে কাৰ্য্যক্ষেত্রে তুমি কিরূপে অগ্রসর হইবে ? কোন আশায় সহিষ্ণুচত্তে সহস্র বাধাবিপত্তির সহিত সংগ্রাম করিবে ? অগ্ৰে তুমি আমার পাণিগ্রহণের যোগ্য হও, তাহার পর আমার পিতাকে তোমার অভিপ্রায় জানাইও। তখন যদি তিনি তোমার প্রস্তাব অগ্রাহ করেন, তাহা হইলে, আমি স্বেচ্ছায় তোমাকে আত্মসমর্পণ করিব,— চিরদিনের জন্য পিতৃগৃহ পরিত্যাগ করিব।” নওরোজি বলিলেন, “পরমেশ্বর করুন আমি যেন তোমার যোগ্য হইতে পারি। তোমার দেখা না পাইলেও আমি ক্ষুব্ধ বা বিচলিত হইব না। আমি সংসার সমুদ্রে ভাসিয়াছি, কিন্তু স্মরণ রাখিও, এ সমুদ্রে তুমিই আমার ধ্রুব তারা ।”