বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ 88న বহু পূৰ্ব্ব হইতেই তাহার প্রেমে আমার হৃদয় পূর্ণ হইয়াছিল। এখন ভাবিতেছি তোমাকে বিবাহ করিতে কেন সম্মত হইলাম ? আমি র্তাহাকে ভাল বাসিয়াছিলাম, আমার প্রেমের জন্য র্তাহার প্রাণ গেল ! তুমি পৃথিবী হইতে র্তাহার অস্তিত্ব বিলুপ্ত করিয়াছ, কিন্তু আমার হৃদয় হইতে কখনও কি তাহার স্মৃতি বিলুপ্ত করিতে পারিবে ?” বায়রামজি ক্রোধে গর্জন করিয়া বলিলেন, “যদি তুমি সাবধান হইয়া কথা না বল, তাহা হইলে আমি তোমাকে — " বায়রামজির দম্ভ দেখিয়া এলিজার মুখে হাসি আসিল, সে হাপি ঘুণ ও অবজ্ঞাপূর্ণ ; তিনি বলিলেন, “তাহ হইলে তুমি আমার প্রাণ বধ করিবে ? স্ত্রী হত্যা করিতে চাও? উত্তম, যে তরবারি দ্বার। তুমি সাপুরঞ্জির মস্তক দ্বিখণ্ডিত করিয়াছ ; সেই রক্তসিক্ত তরবারি লইয়। এস, সামার বক্ষে তাহ! বিদ্ধ কর ; তোমার বীরত্ব প্রকাশে আমি বাধ। দিব না, আত্মরক্ষার জন্য চেষ্টা করিব না, পরলোকে আমি সাপুরজির অনুসরণ করিব ; মৃত্যুতেই আমার শাস্তি, বাচিয়। থাকিবার আমার আর কিছুমাত্র ইচ্ছা নাই। যত শীঘ্র এ ভার লুচাইতে পার--ততই আমার মঙ্গল ; তাহাতেই আমার নিদারুণ প্রাণের জ্বালা প্রশমিত হইবে । এখনও ওধালে দাড়াইয়া আছ কেন ? এই আমি মাথা বাড়াইয়া দিতেছি, আমার মস্তক ছেদন কর ; জীবনে যাহাকে আমি পাই নাই, মৃত্যুর পর তাহার সহিত মিলিত হইব ।” এলিজার কথা শুনিয়া বায়রামজি স্তম্ভিত ভাবে সেই স্থানেই দণ্ডায়মান রহিলেন, সমস্ত জগৎ তাহার নিকট ঘূর্ণ্যমান বোধ হইতে লাগিল, २ **