পাতা:নববোধ ব্যাকরণ.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন | ভাষাবিদ, পণ্ডিতেরা পৃথিবীস্থ সমুদায় ভাষাকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করেন, সাংশ্লেষিক ও বৈশ্লেষিক । যে ভাষায় কারক, কাল, বাচ্য, বচন, পুৰুষ ও ক্রিয়াগত অর্থভেদ প্রভৃতি প্রত্যয় দ্বারা প্রতীয়মান হয়, তাছাকে সাংশ্লেষিক বলে ; যথা সংস্থত, গ্রীক, ল্যাটিন ইত্যাদি । যে ভাষায় ঐ সকল বিষয় প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন পদ দ্বারা প্রকাশিত হয়, তাহাকে বৈশ্লেষিক বলে ; যথা ইংরাজি, ফরাধি, জৰ্ম্মাণ প্রভৃতি - বাঙ্গাল ভাষ! এই দুই শ্রেণীর মধ্যবৰ্ত্তী ; ইহ। কতক সংশ্লেংিক ও কতক বৈশ্লেষিক। ইহাতে কারক, পুরুষ ও প্রেরণ অর্থ প্রত্যয় দ্বারা স্থচিত ছয়, কিন্তু বাচ্য ও ক্রিয়াগত অর্থভেদঃ বিভিন্ন পদ দ্বারা প্রকটিত হয় ; এবং কাল লিঙ্গ ও বচন কিয়ৎপরিমাণে প্রত্যয় দ্বার ও কিয়ং পরিমাণে বিভিন্ন পদ দ্বার। প্রতীত হয়। সুতরাং বাঙ্গাল ভাষ| উপরি উক্ত উভয়বিধ ভাষারই নিয়মাধীন । এপর্য্যস্থ বাঙ্গালী ভাষার যে যে ব্যাকরণ গ্রন্থ প্রচারিত ইয়াছে, একখানি বর্তীত তৎসমণ্ডই এংগ্লতের নিয়মানুসারে রচিত, সুতরাং কোন খানি ও সৰ্ব্বাঙ্গসম্পন্ন হইয় উঠে নাই। সত্য, সংস্কৃত ভাষা বান্দ্রগলার প্রধান উপজীব্য ; কিন্তু উভয়ের প্রকৃতি যে, নিতান্তবিসদৃশ, তাছা স্থলদৃষ্টিরও অগোচর নহে। বাচ্য ও ক্রিয়াগত অর্থভেদ, এই ছুই বিষয়ে সম্পর্ণরূপে ও কাল বিষয়ে অনেক পরিমাণে বাঙ্গালাভাষা ইংরাজির নিতান্ত অনুরূপ ; কিন্তু অন্যান্য স্থলে, বিশেষতঃ কারক, বচন ও সমাস স্থলে সংস্কৃতের ন্যায় নিয়ম&ইন। উক্ত সৰ্ব্বাভিভাবী সাধারণ বিস্থির প্রতি দৃষ্টি রাখিয়। এই প্রবন্ধ খানি সঙ্কলিত হইল । অবিীত শিষ্টাচারই ব্যাকরণ শাস্ত্রের নিয়ামক , প্রধান প্রধান গ্রন্থকারের উহাকে ~াদর্শ করিয়া চলেন । তাছাতেই তাহদের রচনা ভাষার প্রক্লতির অবিসম্বাদিনী ও সহৃদয়গণের হৃদয়গ্রাহিণী হইয়ণ উঠে ।