পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুরুক্ষেত্র। ১২৩৫ খেলিতেছে মুখে, নাচিতেছে শিী আনন্দে ধরি পেখম। সেই বন-শাস্তি, সেই বন মেঙ্গ, স্বপ্ন-স্মৃতি স্নেহময়ী, কি নব জীবন পাইলাম, যেন আমি সেই শৈল মই । সিয়া আকাশ চাহি ভাবিতে লাগিম, কি করিব, কে থাপাব ? শৈশবে জনক কহিত্ত্বেন মীর কাছে—“ধৰ্ম্মে প্রিয়ে । স্থ; ইন্দ্রিয় সংযম, সেই ধৰ্ম্মের সোপান । নাহি চাহি রাজ্যধন । শৈলজা আমার হইবে ধৰ্ম্মের রাণী, ধৰ্ম্মের জননী অন'ৰ্য্যের, বিলাইয়া হরিনাম মুং। বঁচাবে অনার্য্য জাতি । ধৰ্ম্ম বিনা আর হুইবে না কোন মতে অনাৰ্য্য উদ্ধার ” কি বরিব ? কোথা যাব – পাইমু উত্তর । আকাশে কৰ্ত্তব্য রেখা দেখিলু অঙ্কিত । জনক জননী মূৰ্ত্তি দেখিলাম আর বিরাজিত সন্ধ্যাকাশে । অনাথিনী অমি,— আশৈশব নিরজন বড় প্রিয় মম ; বড় প্রিয় বনভূমি । বসি নিরজনে দেখিতাম উদ্ধে নীল মণিময় পটে স্নেহময়ী মা আমার, পিতা স্নেহময়— স্নেহের ত্রিদিবে, স্নেহ-দেবতা যুগল ! হায় । রৈবত্তকে দেবি ! আসিমু যে দিন পপত্রতে, পুণ্য ছবি দেখি নাই আর ।