পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস । ১৩৪১ ।

  • T শতমুখী শতভুজ জাহ্নবী যথায়, শতমুখে শত ধারা স্বধা সঞ্জীবনী, শতভুজে রত্বরাশি, করিয়া বর্ষ", রেখেছেন সাজাইয়া নিকুঞ্জ নিখর প্রকৃতির ফলে পুষ্পে, পাদপে লতায় ; উত্তাল যৌবনগৰ্ব্বে শৈলজ যথায় শতমুখে উচ্ছ্বসিত সিন্ধু বিচুম্বিস্থা ঢালিছেন প্রেমধার:বক্ষুধা প্লাবিয়া ।”

কহিল চতুর্থ শিষ্য—“ঞ্চষিশ্রেষ্ঠ ; আমি ভ্ৰমিয়াছি মরুভূমি মধ্য ভারতের। যেই বিধি স্বজিলেন কমলে কণ্টক, শশাঙ্কে কলঙ্ক, শমী হৃদয়ে অনল, কামনা ছপ বৃণীয় মানব হৃদয়ে, সেই বিধি বুঝি হায় ! নিদারুণ যনে হৃদয় করিল মরু ভারত মাতার ! রাখিল চাপিয়া বক্ষে বিন্ধ, আরাবলি, ভীষণ কঠিন শৈল অচল যুগল ! কিংবা বুঝি ভ্রান্তি মম ;-বিন্ধ, আরাবলি, বুঝি মাতৃস্তনদ্বয় ; হায়! অবিরল বহি চারি স্তন্তধারা অমৃত শীতল, মহানদী, গোদাবরী, নৰ্ম্মদ, তপূৰ্তী পালিয়া সন্তানগণে যুগ যুগান্তরে, হইয়াছে জননীর বিশুদ্ধ হৃদয়,— হায় ! নরাধম মোরা ’ হইল সজল ঋষির নয়নয়। কহিল কাতরে— । “মাতৃভক্তি, মাতৃপ্রেম দিয়া প্রতিদানে ।