পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|১৮৩৬ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । পাৰ্ব্বতীর প্রেমধারা পুণ্যবতী স্রোউন্বতী fক তরল স্বধা নিরমল,— কি শাস্তু গভীর ! অনাথ নাথ ও গুছুমতী অট্টালিকার ছাদে বসিয়া প্রকৃতির এই বৈশাখী ফুল্লচন্ত্রিকামণ্ডত শোভ দেখিতেছিলেন । প্রকৃতির এই লীলাভূমির শীর্ষস্থানে বসিয়া যে এই শোভ দেখে নাই, কবির সাধ্য নাই, চিত্রকরের সাধা নাই, তাহাকে । উহা বুঝাইবে গিরিপাদমূলে, নদীর উভয় কুলে, গ্রামগুলি এক একটি বৃক্ষসমাচ্ছন্ন উপবনের মত শোভা পাইতেছে। বৃক্ষঅক্তরালে গ্রামের প্রদীপাবলী জ্যোৎস্নায়ু ক্ষীণলোক হইয়: এল্ফ টত মলত্রীপুষ্পের মত শোভা পাইtেছ। পল্লবে গুচ্ছে ও তৃণে বৃত্ত পৰ্ব্ব ও সমতল ভূমি জ্যোৎস্নালোকে 'fa মনোহর শুiমশেভ ধারণ পরিয়াছে । এই শুমক্ষেত্রে জ্যোৎস্নাগ্ললিত কর্ণফুলীর কি নমুনানন কর বঙ্কিমগতি । শুমার ও শ্বেতভূজর এই অলিঙ্গনে পরস্পকের সৌন্দর্য্য কত বৰ্দ্ধিত হইয়ছে । গিরিশেখরে অনথিনাথের মনোহর পুরীর অট্টালিকা ও উদ্যান চন্দ্র করে থগু-ব্রিদিবের মত বোধ হইতেছিল। বৃক্ষে বৃক্ষে, গুঝে গুtথ, পূর্ণবসত্তের প্রস্ফুটিত স্কুলরাশির সেই কৌমুদী-প্রোঞ্জসিত শেভ করনদুল্লভ। অট্টালিকার ছাদের টবে নানাজাতীয় ক্রোটন, ফুল ও লতার মনোহর উদ্যান ও নিকুঞ্জ স্থানে স্থানে নানা অবয়বের ছায়া নিক্ষেপ করিয়া জ্যোংস্নায় একটি স্বপ্নদৃষ্ট শোভার বিকাশ করিতেছে। নিয়ে নাগেশ্বরের উপবন হইতে মহামুনির মন্দিরের চুড়া উদ্ধে উত্থিত হইয়া, মানবকে নিৰ্ব্বশ্বের পথ দেখাইতেছে, যেন বলিয়া দিতেছে যে, পুণ্যবশ্বের দ্বারা মানব