পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । ১৯৮১ এরূপ দুরবস্থা হয়, যে স্বকৰ্ম্মে ছুক্ষৰ্ম্মে প্রভেদ বুঝিতে পারে না, অর্থাৎ সংসার হইতে ধর্শ্বজ্ঞান তিরোহিত হয়— - “যখন যখন ঘটে, ভারত ! ধৰ্ম্মের গ্লানি, অধৰ্ম্মের অভূখীন, আপনাকে স্বজি আমি । ৭ “সাধুদের পরিত্রাণ, বিনাশ দুস্কৃতদের কপিতে সাধন, স্থাপন করিতে ধৰ্ম্ম, করি আমি যুগে যুগে জনম গ্রহণ ” ৮ তখন ভগবান শরীর গ্রহণ করিয়া মানব-জাতিকে প্রকৃত ধৰ্ম্ম অথবা প্রকৃত কৰ্ত্তব্যজ্ঞান শিক্ষণ দেন। আর যদি বল যে, তাহ লাভ করা বহু জ্ঞান এবং তপস্তার ফল, তথাপি— “যে যথা আমাকে চাহে, তাকে তথা ভজি আমি ” কfর ণ— “পার্থ। সৰ্ব্বরূপ নর মম পথ অনুগামী ” ১১ * লোকে দ্রবাদি দ্বারা নানারূপ যাগ যজ্ঞ করে এবং যোগ সাধন করে । কিন্তু- 辭 ‘, ‘প্রব্যময় যজ্ঞ হতে জ্ঞানযজ্ঞ শ্রেয়ান্বিত ; সৰ্ব্বরূপ কৰ্ম্ম পার্থ জ্ঞানে হয় সমাপিত।” ৩৩ সে জ্ঞান কিরূপ-- - “যে জ্ঞান লভিলে পুনঃ ন হয় মোহ, পাওব ! আমার আত্মাতে যাহে দেখিবে সংসার সব "৩৫ কিরূপ হইলে তাহ পাওয়া যায় ? ' -তৎপর, সংষভেস্ক্রিয়, শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান । লভি জ্ঞান, পায় শীঘ্র পরম শান্তি নিদান * ৩৯ ৫ম অধ্যায়—কৰ্ম্ম-সন্ন্যাসযোগ । ঈশ্বর-জ্ঞান লাভার্থ কৰ্ম্ম ত্যাগের নাম সন্ন্যাস। ঈশ্বরে ফল । সমর্পণ করিয়া, অর্থাৎ ক্ষণ-কামনা ত্যাগ করিয়া প্রশ্ন করার নাম ।