পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪২
নব্য জাপান

সিউনকি-কোরি, (বসন্তোৎসব) প্রতিবর্ষের ২০ মার্চ্চ তারিখে হইয়া থাকে। ৭ম জীমুতমনু সাই, প্রতিবর্ষের ৩ এপ্রিল তারিখে হইয়া থাকে। ৮ম জিউকি-কোরি-সাই (শরতােৎসব) প্রতিবর্ষের ২৩শে সেপ্টেম্বর তারিখে এই পর্ব্ব উপলক্ষে সকলেই পূর্ব্বপুরুষগণের পূজা করিয়া থাকে। ৯ম কালেম-মাৎসুরি বা সিনশো সাই (নবান্ন) ১০ম তেনচো-সেটসু (বর্ত্তমান সম্রাটের জন্মদিন) ১১শ নমনো মাৎসুরি, ২৩শে নবেম্বর তারিখে নূতনধান্য ছেদন উপলক্ষে এই উৎসব হইয়া থাকে।

 এতদ্ভিন্ন জাপানে আরও কয়েকটী জাতীয়-উৎসব প্রচলিত আছে।

 ভগবান গৌতম বুদ্ধ স্বীয় শিষ্যবর্গের মধ্যে যে কয়টী নিষেধাজ্ঞা প্রচার করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে সেসিত (অহিংসা) ফুলতা (চুরি না করা) সিজেন (সৎশীলতা) সেগো (সত্যবাদিতা) প্রভৃতি কয়েকটী অনুশাসন জাপানবাসী বৌদ্ধগণের মধ্যে প্রবল দেখা যায়।

 ১৫৪৯ খৃষ্টাব্দের ১৫ই আগষ্ট তারিখে ফ্রান্সিস জেভিয়ার জাপানে আগমন পূর্ব্বক খৃষ্টধর্ম্ম প্রচার করিতে আরম্ভ করেন। এইরূপ শুনা যায়, তিনি নিংসিট নামক জনৈক অশীতিবর্ষীয় বৌদ্ধ যাজককে তর্কযুদ্ধে পরাস্থ এবং একটী মৃতাবালিকাকে মন্ত্রবলে পুনর্জীবিত করিয়া জাপানে অপূর্ব্ব প্রতিপত্তি লাভ করেন। ফলতঃ জেভিয়ারের যত্নেই জাপানে খৃষ্ট মাহাত্ম্য প্রথম প্রচারিত হয়, তাঁহারই চেষ্টায় আমকুশা দ্বীপস্থ সমগ্র নরনারী খৃষ্টধর্ম্মে দীক্ষিত হয়।

 ১৫৮৭ খৃঃ সেনাপতি টয়োটমার আদেশানুসারে খৃষ্টধর্ম্ম