পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নব্য জাপান
৪৯

কামি” অর্থাৎ প্রধান আছে। পূর্ব্বে জাপানে প্রত্যেক বংশ রেজেষ্ট্রী হইত এবং রেজেষ্ট্রী পুস্তকে বংশের প্রধান ব্যক্তির নাম ও বাসস্থান লিখিত থাকিত। শেষ পুস্তকে ১১৮২টী বংশের উল্লেখ আছে।

 জাপানের প্রাচীন ধর্ম্মপুস্তকে ত্যজ্যপুত্রের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। পুত্র বংশের প্রধান ব্যক্তিকে অপমান করিলে, বংশগৌরবের হানিকর কোন কার্য্য করিলে, পুত্র উন্মত্ত বা ক্লীব হইলে ও চৌর্য্যাদি দোষাক্রান্ত হইলে পিতা কর্ত্তৃক পরিত্যজ্য হইত। এক্ষণে রাজবিধানের সাহায্য ব্যতীত ত্যজ্যপুত্র সিদ্ধ হয় না। জাপানে “কিউযোশী” অর্থাৎ পােষ্যপুত্র গ্রহণ প্রথা প্রচলিত আছে। চারি পুরুষের মধ্যস্থিত জ্ঞাতি হইতে ১০ বৎসরের ন্যূনবয়স্ক বালক দেখিয়া পােষ্যপুত্র লইতে হয়। জামাতাকে পােষ্যপুত্ররূপে গ্রহণ করা যায় না। তবে কোন বালককে গৃহে আনিয়া পােষ্যপুত্র করিয়া কন্যার সহিত বিবাহ দেওয়া যাইতে পারে। ইহাকে “মুকোযোশী কহে।” সম্প্রতি এই প্রথা জাপানে অত্যধিক বৃদ্ধি প্রাপ্ত হওয়ায় নুতন দেওয়ানী আইনের ৮৩৯ ধারায় ও রেজেষ্ট্রী আইনের ১০২ ধারায় মুকো-যােশী সম্বন্ধে কয়েকটী অভিনব নিয়ম সন্নিবেশিত হইয়াছে।

 জাপানে জ্যেষ্ঠপুত্রই পিতার সন্মান (বােটোকো-সােজোকু) ও সম্পত্তি (আইসান-সােজোকু) লাভ করিয়া থাকে। পুত্রাভাবে মৃত ব্যক্তির পিতা, পিতার অভাবে মাতা, তদাভাবে প্রথমা পত্নী, তদাভাবে মৃতের সহােদর, সহােদরাভাবে সহােদরা, তদাভাবে অন্য পত্নীগণ, তদাভাবে মৃতের জ্ঞাতি ভ্রাতাগণ সম্পত্তির উত্তরাধিকার করিয়া থাকে।