পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগজ মেরামতের হাতিয়ার > X > যায়। কাও ৷ এইরূপ সামান্ত । এটা মায়ের কাছে ভয়ানক হিংসার কার হইয়া উঠিল । তার ফলে কুকুরকে ডাকাডাকি লইয়াই যে রাগের কারণ শেষ হইয়া যায়, তা নয়। পাড়ায় যখন বেড়াইতে যায় তখন মা বলে “কি আর বলুব ? আমার কি আর ইজ্জত আছে ? এই দেখুন কুকুরটা পৰ্য্যন্ত আমাকে সন্মান করে না, ছেলেকে সন্মান করে ।” অতি সামান্ত দৃষ্টান্ত দিলাম, এ সম্বন্ধে বেশী ঘাটাঘাটি করিতে চাই না। স্বামী-স্ত্রীর সম্বন্ধে দেখিতে পাই সকল দেশেই, বাইরে খুব ভাব, ভিতরে গিয়া দেখুন, সদ্ভাব বলিয়া কোনো বস্তু নাই। একদম ভাব নাই তা বলিতেছি না। বলিতেছি প্রায়ই ভাবের যথেষ্ট খাতি আছে। আসল কথা—যেখানে মনে করি খুব ভাব সেখানে ভাবের খুব অভাব থাকিতে পারে। সে অবস্থায় যদি স্বামী স্ত্রীকে ভাগাভাগি করিয়া দেওয়৷ যায় আর বুলিয়া দেওয়া হয় “তুই থাৰু এখানে, আর তুই ওখানে থাৰু, দুয়ের এক জায়গায় থাকার দরকার নাই” তাহা হইলে বিবাদের কারণ অনেকটা ঘুচিয়া যায়। তাই বলিতেছি এখন হিন্দু মুসলমানের মধ্যে একটু ভাগাভাগি হইলে সেট। ভবিষ্যতে হয়ত মিলনেরই সোপান হইয়া দাড়াইবে । হিন্দুও দোযেগুণে মানুষ, মুসলমানও দোষেগুণে মানুষ। যতটা আমরা ভাবি হিন্দু-মুসলমানে ঐক্য ছিল বা আছে ঠিক ততটা সত্য ন হইতে পারে। অন্ততঃ বিশ বাইশ বৎসর ধরিয়৷ হিন্দু-মুসলমান খাওয়া-খাওয়ি করিতেছে। সেটা আজ বাজনা লইয়া, কাল এ জিনিষ, পরশু ও জিনিষ লইয়া দেখা দিয়াছে—যার ফলে এখন খুনোখুনি পৰ্য্যন্ত চলিতেছে। এখন কি কিছু কালের জন্ত তাদের ভাগাভাগি হইয়া থাকা মন্দ নয় ? ঐক্য ঐক্য করিয়া চেচাইলেই ঐক্য পয়দ হইবে না।