পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\3)\2) ο নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

যুবক ভারতের জ্ঞানকাণ্ডে আর কৰ্ম্মকাণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতখানি ও কিরূপ প্রভাব বিস্তার করিয়াছে, তাহার আলোচনা থাকাও দরকার । এই প্রস্তাব ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সহজেই গৃহীত হইবে বলিয়া বিশ্বাস করি। ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় লিখিত বিষয়গুলি মাল ও লেখক হিসাবে ভিন্ন ভিন্ন হইবে । কোনও একটা মূল ভারতীয় রচনার তর্জমারূপে এইগুলা প্রকাশ করা হইবে না, ইহাও জানিয়া রাখা ভাল। তবে প্রত্যেক ভাষায়ই বইয়ের নাম রাখা যাইতে পারে নিম্নরূপ—“জর্জ ওয়াশিংটন ও আমেরিকা ।” এই সঙ্গে আর একটা প্রস্তাব পেশ করা যাইতেছে। ১৯৩২ সনের ভিতর ভারতীয় প্রকাশক ও সম্পাদকগণ র্তাহাদের দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিকের একটা “জর্জ ওয়াশিংটন ও আমেরিকা সংখ্যা” প্রকাশ করিতে পারেন। ফেব্রুয়ারী মাসে ওয়াশিংটন তিথির উল্লেখ করা দরকার হইবে। আর সেই সঙ্গে কোন তারিখে বিশেষ সংখ্যাট বাহির হইবে তাহার বিজ্ঞাপন প্রচার করাও ভাল । ভারতের সাৰ্ব্বজনিক সভা-সমিতি, সাহিত্য-প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান-পরিষং, শিল্প-বাণিজ্যভবন, গ্রন্থালয় গবেষণা-গুহ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে জর্জ ওয়াশিংটন ও তাহার দেশকে সম্বৰ্দ্ধনা করার গৌরব সহজেই অনুভূত হইবে আশা করিতেছি । এই উৎসবে যোগদান করিলে মার্কিন নর-নারীর সঙ্গে ভারতীয় নর-নারীর আত্মীয়তা আরও খানিকট নিবিড়তর হইয়া উঠিবে, এই বুঝিয়া দেশের জননায়কগণ নিজ নিজ কৰ্ম্মক্ষেত্রে যথোচিত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিতে উৎসাহী হইবেন, এরূপ ভরসা আছে। শীঘ্রই বাঙ্গলা দেশের জন্য “বঙ্গীয় জর্জ ওয়াশিংটন স্মৃতি পরিষৎ" নামে একটা নাতিবৃহৎ সংগঠন-সভা কায়েম হউক । ইতি— কলিকাতা, নবেম্বর ১৯৩১ ।