বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালী, ভারত ও জুনিয়া ○や> ইয়োরোপীয়ানদের চেয়ে নিম্নপদস্থ বিবেচনা করা চলিতে পারে না। করিতে গেলে “গা-জুরি” দেখানে হইবে মাত্র। ইয়োরোপ-সুলভ অনৈক্যই চাই তাজ ভারতে । ইয়োরোপীয়ান পণ্ডিত আর রাষ্ট্রকেরা এই কথা বলিবেন না । কিন্তু এই কথা বলাই যুবক-ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ স্বদেশসেবকগণের পক্ষে একমাত্র কত্তব্য । নয়া বাঙলার গোড়া পত্তনের কাজে সৰ্ব্বপ্রথম জরুরি কাজ এই নবীন বস্তুনিষ্ঠ রাষ্ট্রদর্শন। যুবক বাঙলার স্বদেশ-সেবা, স্বার্থত্যাগ ও উন্নতি-নিষ্ঠ৷ এই নবীন দর্শনের কৰ্ম্মকাণ্ডে মূৰ্ত্তিমন্ত হইয় উঠুক। নেশ্বান রাষ্ট্রের আসল কথা ইয়োরোপীয় অনৈক্যের মতই আমি ভারতে অনৈক্য চাই । বস্তুত: এই ভারতীয় অনৈক্য দেখিয়া ভারতবাসার লজ্জিত হওয়ার কোন কারণ নাই । এবার আর একটা কথা বলিব—আরও গভার। ইয়োরোপের এই যে ত্রিশ বত্ৰিশটা ছোট ছোট স্বাধীন দেশ তাদের প্রত্যেকটার ভিতরে কোনো প্রকার ঐক্য আছে কি ? অনেক ক্ষেত্রেই বিলকুল না। অথচ আমরা ভারতে আহাম্মুকের মতন বুলি আওড়াইয়া থাকি যে, ইয়োরোপের ভিন্ন ভিন্ন দেশগুলি বাস্তবিক এক একটা ঐক্যগ্রথিত দেশ। ইংরেজীতে একটা শব্দ ব্যবহৃত হয়। সেটা ঐক্যগ্রথিত অথবা একতাশীল লোকসমষ্টির প্রতিশব্দ বিশেষ । তাহাকে বলে “নেস্তান” । আমাদের রাষ্ট্রক মহলে, সাংবাদিক মহলে, দার্শনিক মহলে, সাহিত্যিক মহলে, পণ্ডিত মহলে, সৰ্ব্বত্রই একটা ধারণা জন্মিয় গিয়াছে যে, ইয়োরোপের ছোট ছোট স্বাধীন দেশগুলি বাস্তবিকই এক একটা "নেশুন” অর্থাৎ জীবনের সকল প্রকার কৰ্ম্মক্ষেত্রে পুরোপুরি ঐক্যবিশিষ্ট সমষ্টি। আসল কথা অনেক