ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা 86: আছি । আপনার প্রথমেই বোধ হয় স্বীকার করিবেন, বীমা জিনিষ আমাদের দেশে নাই। ব্যাঙ্ক আছে। বীমা নাই। একথা বলিলে হয়ত মিথ্যা কথা বলা হয়, কেননা স্বদেশী আন্দোলনের সময় বীমা বস্তু কিছু কিছু হইয়াছিল। তাহার পর হইতে বীমা-প্রথ বাড়িয়াই চলিয়াছে। কিন্তু আমি যে দরের বীমার কথা বলিতেছি, সেইটি ভারতের ত্রিসীমানায় নাই। এই দিক্ হইতে যদি আলোচনা করি তাহা হইলে আমরা কোথায় আছি তাহা সহজেই ধরা পড়িয়া যাইবে । আজ সে হিসাবে আলোচনা করিব না, অন্তান্ত তরফ হইতে মাত্র কয়েকটা কথা বলিব । ব্যাধি, বাৰ্দ্ধক্য আর দৈব এই তিন বীমা তিন স্বতন্ত্র বস্তু। একটার সঙ্গে আর একটার যোগ নাই । এই জিনিষগুলা কি তাহাই বিশ্লেষণ করা আমার বিশেষ উদ্দেশু । স্বদেশ-সেবা কাহাকে বলে ? ১৯০৫ সনে যখন লড়াই হয়, রুশ-জাপানী লড়াই, তখন আমরা “জন্মগ্রহণ” করিয়াচি বা করিতেছি । যুবক-ভারত জন্মগ্রহণ করিয়াছিল । তখন অনেক কথা শুনিয়াছি ও শুনাইয়াছি, শিখিয়াছি ও শিখাইয়াছি । তারপর আজ একুশ বৎসর চলিয়া গিয়াছে। শুনিতে পাই, জাপানীদের মতন স্বদেশ-সেবক জাতি পৃথিবীতে কম। স্বদেশী বক্তৃতা করিতে হইলে আমরা আগে জাপানের দৃষ্টান্ত দিই । বিদেশী জাতিকে সম্মান করা নিন্দনীয় নয়। কিন্তু বিষয়টা তলাইয়া দেখা দরকার। জাপানে গিয়াছি সেই লড়াইয়ের অনেকদিন পরে । স্বদেশ-সেবা বস্তুটা কি আমরা বেশ জানি, অন্ততঃ পক্ষে ১৯০৫-১৪ সন আমার বেশ জানা আছে। এই বৎসর দশেক ধরিয়া আমাদের এই ধারণা ছিল যে, যে স্বদেশ-সেবক সে না খাইয়া মরিবে, তাহার ঘরে হাড়ি