বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( و ) ( কলিকাতা, ১৫৮ পৃষ্ঠা, ১৯২৭ ) । এই গ্রন্থে ১৯২৬—২৭ সনের চীনসমস্ত আলোচিত হইয়াছে ! চীন-কথাকে ভারতীয় চিন্তামগুন্সে সুপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস বিনয় বাবুর বাংলা ও ইংরেজি গ্রন্থের ( মোটের উপর প্রায় ১২ • ০ পৃষ্ঠ ) অন্ততম লক্ষ্য দেখিতে পাই । ১৯১৫–১৬ সনের দেড় দুই বৎসর ধরিয়া জাপান, কোরীয়া, মাঞ্চুরিয়া ও উত্তর চীনের বিভিন্ন সমাজে তিনি যে সকল অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন সেই সমুদয়ের ফলই এই সকল গ্রন্থে সন্নিবেশিত হইয়াছে । "চীনাধৰ্ম্ম" বিষয়ক ইংরেজি গ্রন্থের কিয়দংশ বিলাতী রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি” নামক পরিষদের শাংহাই-শথিার বক্তৃতারূপে বাহির হইয়াছিল। এই পরিষদের তিনি আজীবন সভ্য নির্বাচিত হইয়াছেন । চীনা ধৰ্ম্ম” গ্রন্থ শাংহাইয়ের “দ্যাশনাল রিভিউ” নামক বিদেশী-পরিচালিত ইংরেজি পত্রিকায় আগাগোড়া বাহির হইয়াছে। চীনা সাহিত্য-সেবী ও শিক্ষা-প্রচারকদের বিভিন্ন পরিষদে তিনি বক্ততা করিবার জন্ত নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন । পিকিঙের বিশ্ববিদ্যালয় হইতে নিমন্ত্রণ আসিয়াছিল। র্তাহার কোনে। কোনো বক্তৃতা চীনা স্বধীদের সম্পাদিত চীনা পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে মার্কিন পণ্ডিত গিলবার্ট রীড প্রতিষ্ঠিত “ইণ্টারন্যাশনাল ইনষ্টিটিউটু” সভায় তিনি অনেকবার বক্তৃতা করিবার জন্য আহুত হন। উচ্চশিক্ষিত চীনা সমাজের ভিতর ভারতীয় চিন্তাধারা তাহার ফলে সুবিস্তৃত রূপে প্রবেশ লাভ করে। র্তাহাকে কেন্দ্র করিয়া যুবক চীনের বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শিক্ষণ বিষয়ক নানা প্রতিষ্ঠান চীনা সমাজে এশিয়ার প্রাচীন ও বর্তমান সভ্যতা সম্বন্ধে পঠন-পাঠনের স্থায়ী ব্যবস্থা করিতেছিল । কিন্তু পাক৷ বন্দোবস্ত ঘটিয়া উঠিবার পূৰ্ব্বেই বিনয় বাবু চীন পরিত্যাগ করেন ।