বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tre নয় বাঙ্গলায় গোড়া পত্তন ফরাসী-জাৰ্ম্মাণ চাষীকে স্বর্গে ঠেলিয়া তুলিতে পারে নাই। স্থই শ্রেণীর স্বাধীনতা খাইয়াও তাহাদের “ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” আর"মুখ-পিপাসা”মিটে নাই । এই দুই শ্রেণীর স্বাধীনতার বাহিরেও আর এক শ্রেণীর স্বাধীনতা আছে। সেটা অর্থগত—আর্থিক । খাওয়া-পরার দুর্দশা, ভাত-কাপড়ের টান মাছষের যতদিন থাকে ততদিন পর্য্যন্ত আইনের চোখে স্বাধীন জীব আর পাল্যামেন্টের ভোটার-মেম্বার হইয়াও নরনারীর আসল ছঃখ ঘুচে না । এই মামুলি তত্ত্বটা ইয়োরোপে আবিষ্কৃত” হইল উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় তৃতীয় পাদে । জাৰ্ম্মাণদেরকে এই আবিষ্কারের পথ-প্রদর্শক বলিতে পারি,—বিশেষতঃ চাষী কিষাণদের কৰ্ম্মক্ষেত্রে । ১৮৫০ সনে দেখা গেল যে, জাৰ্ম্মাণিতে “স্তাফ" বা ভূমি-গোলাম আর কেহ নাই বটে। কিন্তু ৪,০ •,• • • “স্বাধীন” চাষীর অবস্থা বড়ই শোচনীয়। স্বাধীনতা তাদের আলবৎ আছে । আধ্যাত্মিক জীব হিসাবে তাদের কোনো অভাব নাই। অভাব ষা-কিছু অল্প-বস্ত্রের। তাদের প্রত্যেকের হিস্তায় জমির পরিমাণ এত কম ষে প্রাণপণে আবাদ চালাইলেও তাতে “দুবেলা হাড়ী চড়ানো” অসম্ভব । সবই আছে,—নাই কেৰল আর্থিক স্বাধীনতা, নিরুদ্বেগ জীবন যাপনের ব্যবস্থা । সমস্তাটা আবিষ্কৃত হইল নিম্নরূপ —ফী চাষী প্রতি যথেষ্ট জমির অভাব । চাষী প্রতি জমির পরিমাণ এই যে সমস্তা,—জাৰ্ম্মাণ এবং অনেকটা সাৰ্ব্বজনিক ইয়োরোপীয়ান সমস্তা,—ইহা ইয়োরোপের বাহিরেও সনাতন সমস্তা। ভারতে এই সমস্তার কথা জানে না কে ? ভারতে প্রথম দুই শ্রেণীর স্বাধীনতা চাষীমৰুর গরীবগুৰ্ব্বে ধনী মহাজন সকলেই অল্পবিস্তর ভোগ করিতেছে । অবগু রাষ্ট্ৰীয় স্বাধীনতার প্রথম দিকটা আজকাল এদেশে অজ্ঞাত। কিন্তু