বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন “পাগল, ব্যস্ত হইতেছিস কেন ? জমিত কিনিয়াছি আমি ভোর কাছ থেকে । চাষীরা ত কিনে নাই । দাম স্বদে আসলে আমার কাছ থেকেই পাইবি । ফী বৎসর কিছু কিছু করিয়া দিয়া যাইব । তোর টাকা মারা যাইবে না।” দেখা যাইতেছে যে, কারবারটা আগাগোড়া গবর্ণমেণ্টের মাথাব্যথা ছাড়া আর কিছু নয়। টাকাকড়ির সকল বুকি গবর্ণমেণ্টের ঘাড়ে। প্রশ্ন হইতেছে, গবর্ণমেণ্ট এত টাকা পাইতেছে কোথায় ? সরকারী খাজাঞ্জিখানায় । আর খরচের জন্য আছে স্বতন্ত্র ব্যাঙ্ক । নাম "রেন্ট-বাঙ্ক"। এই ব্যাঙ্কের মারফৎ দেদার টাকা ঢালিতে হয় । প্রথম ত্রিশ বত্রিশ বৎসরের ভিতর জাৰ্ম্মাণ গবর্ণমেণ্ট প্রায় ২০,০০ • ছোট্ট কিষাণ গড়িয়া তুলিয়াছে। এই বাবদ প্রায় ১৮ কোটি টাকা ঢালিতে হইয়াছে। অর্থাৎ ফী বৎসর প্রায় ৫০ লাখ টাকার ঝুঁকি লইলে তবে গবর্ণমেণ্টের পক্ষে চাষীদেরকে “আর্থিক স্বাধীনতা” বাটিয়া দেওয়া সম্ভব । আইন-বিপ্লবের এই হইল অর্থ-কথা । ডেন্মার্কের কৰ্ম্ম-প্রণালী (১৮৯৯) কথাটা বুঝাইতেছি ডেন্মার্কের কৰ্ম্মকৌশল বিশ্লেষণ করিয়া । জাৰ্ম্মাণির নয় দশ বৎসর পরে ডেন্মার্ক জাৰ্ম্মাণ আইনের এক জুড়িদার আইন কায়েম করে ১৮৯৯ সনে । কতকগুলা কোম্পানী খাড়া হইল। এগুলাকে ব্যাঙ্ক বলাই উচিত । গৰণমেণ্ট দাড়াইল এই সবের মুরুব্বি । এরা জমিদারী কিনিয়া লইতে লাগিল আর “ছোট্ট টুকরা"র ব্যবস্থা করিতে থাকিল। এই কোম্পানীগুলার পূজিই আমাদের সর্বপ্রথমে লক্ষ্য করা উচিত । তারপর হইতেছে “পারিবারিক আবাদ"ণ্ডলা বেচিবার পালা। চাষীর