বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মজুর-কুনিয়ায় নবীন স্বরাজ >)● হইবার সম্ভাবনাও খুব কম । তাহার অনেক কারণ আছে। তন্মধ্যে একটি কারণ—কলের মালিকদিগের আপত্তি । মালিকদিগের সমিতি গভর্ণমেণ্টকে একখানি পত্রে জানাইয়াছেন যে, ঐ বিলের বিরুদ্ধে দাড়াইতে হইলে গভর্ণমেণ্টের সঙ্গে তাহারা একমত। তাহার তেজের সহিত বলিয়াছেন, ঐ বিষয়ে জনসাধারণের মত এখনও প্রবল নয় । ব্যবস্থাটা প্ৰবৰ্ত্তিত হইলে, ঐ বিষয়ে তদারক করাও কঠিন হইবে— ইত্যাদি । তাহাদের প্রদশিত কারণের মধ্যে একটি কারণ এই যে, শ্রমিকেরা বিশেষভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হয় নাই। আর একটি কারণ এই যে, স্ত্রী-ডাক্তারের সংখ্যা পৰ্য্যাপ্ত নয়। সুতরাং বিলের সর্তাকুসারে ডাক্তারী সাহায্য প্রদান করা শক্ত । o একপুরুষ আগে ঐ ধরণের যুক্তি ইয়োরোপেও গুনা যাইত । মনে রাখিতে হইবে যে, ভারতীয় গভর্ণমেণ্ট এখনও জানেন না—বাধ্যতামুলক সাৰ্ব্বজনান অবৈতনিক শিক্ষার আইন কি বস্তু ! তাহাদের ব্যবস্থা হইতেই বেশ বুঝা যায়, আজ ভারতীয় শ্রমশক্তির দৌড় কত দূর এবং যে বিশ্ব-শ্রমের মধ্যে আজ সে আসন পাইয়াছে, তাহার পশ্চাদভাগের কোন স্তরে তাহার অবস্থিতি। অবং আর্থিক জগতে উন্নতি করিতে হইলে ভারতের পন্থা আধুনিক দেশের পন্থা হইতে বিভিন্ন হইবে না। এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলিয়া রাখা ভাল । শ্রম-বীমা কি বস্তু তাহা কিন্তু ভারতে এখনও অজ্ঞাত । আকস্মিক বিপদ, রোগ অথবা বাৰ্দ্ধক্যে শ্রমিক স্ত্রীপুরুষের বিশেষ কিছু সাহায্য পায় না । প্রথম “ট্রেড ইউনিয়ন বিল” আইনরূপে পরিগণিত হইয়াছে কেবল মাত্র ১৯২৫ সনের প্রথম ভাগে । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, বোম্বাইয়ের কলের মালিকেরা ভারতবর্ষের লোক ইয়োরোপের লোক নন। জাতীয়তা বা স্বাদেশিকতার কোনো দিক