বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনোৎপাদনের বিদ্যাপীঠ ১২৭ শিল্প-কারখানায় মজুর-রাজ সম্বন্ধে বলিয়াছি যে,—কি ব্যাঙ্ক, কি ডাকঘর, কি হোটেল—প্রত্যেক কৰ্ম্মকেন্দ্ৰে যত লোক কাজ করুক,—সে বাবুশ্রমজীবীই হোক বা কুলী-শ্রমজীবীই হোক,—প্রত্যেকে এই সকল কেঙ্গে স্বাধীনতা এবং কৰ্ম্মকেন্দ্র শাসন করিবার অধিকার ভোগ করিতেছে। তাই দেখিতে পাইতেছি যে, সকল দিক দিয়াই এই পৃথিবীর ধন-দৌলত নুতন নূতন উপায়ে নব নব প্রণালীতে বাড়িয়া যাইতেছে । বিদ্যামাত্রই অর্থকরী ধনোৎপাদনের বিদ্যাপীঠ ও অন্যতম জবর শক্তি । আর্থিক উন্নতি সাধনের পশ্চাতে থাকে একটা বিপুল শক্তি । সেটা হইতেছে বিদ্যা । ধনোৎপাদনের জন্ত বিদ্যাপীঠ আছে, ছেলে পিটিবার আখড়া আছে । টাকা রোজগার করা, টাকা পয়দা করা, ধনদৌলত স্বষ্টি করা—আর্থিক উন্নতির যত কিছু কৰ্ম্ম থাকিতে পারে, এ সবের একটা মস্তবড় বনিয়াদ হইতেছে ইস্কুল বা কলেজ । দুনিয়ায় এমন কোনই স্কুল নাই, যেখানে ধনোৎপাদনের বিদ্যা প্রচারিত হয় না। যে দিন থেকে পাঠশালায় ধারাপাত শুরু করিয়াছি, সেইদিন থেকে ধনোৎপাদনের বিদ্যায় অনেক দূর অগ্রসর হওয়া গিয়াছে। পুরুতগিরির পাঠশালাও ধনোৎপাদনের বিদ্যাপীঠ । মন্তর পড়াও ব্যবসা । পুরুত মোল্লা হউন, আর খ্ৰীষ্টিয়ান পাদ্রীই হউন—এর সবাই ধনোৎপাদনের জন্য তুকমুখ একটা কিছু শিথিয় য়েন । ওকালতী, মোটর চালানো, ডাক্তারী, পাটের দালালী যেমন ব্যবসা, পুরুতগিরি তেমনি ঠিক খাটি ব্যবসা । এই ব্যবসার জন্য তারা শিক্ষাদীক্ষা লইয়া থাকেন তার জন্য এরা যে সব কৰ্ম্মকেন্দ্রে যান, সে টোল হোক, মাদ্রাসা মক্তব হোক, বা থিয়লজিক্যাল ডিভিনিটি কলেজ হোক, --সেসবই ধনোংপাদনের বিস্তাকেন্দ্র বটে ।