বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৯ ) ; সঙ্গে ফরাসী অর্থশাস্ত্রীদের নিয়মিত চিন্তা-বিনিময়ের কথা আলোচনা করিয়াছেন । চিঠিখানির বাংলা তর্জমা নিম্নরূপ — প্যারিস, ২০ ফেব্রুয়ারী ১৯২১ প্রিয় সহযোগী মহাশয়, আমরা আপনাকে ফরাসী ধন-বিজ্ঞানপরিষদের সভ্যরূপে পাইয়া বিশেষ আনন্দিত হইয়াছি। ধন-বিজ্ঞান-বিদ্যা একটী আন্তর্জাতিক শাস্ত্র । পাটীগণিত এবং জ্যামিতি যেমন সনাতন •ও সাৰ্ব্বজনীন, অর্থশাস্ত্রও সেইরূপ । কোনো দেশের সীমানা দ্বারা এই শাস্ত্রের সত্যসমূহকে গণ্ডীবদ্ধ করা যায় না । যে সকল সত্য এই বিদ্যার অধিকৃত অথবা যে সকল সত্য অধিকার করিবার জন্য এই বিদ্যার গবেষকেরা চেষ্টিত তাহার কোনোটাই সীমাবদ্ধ নহে । এই বিদ্যা সম্বন্ধে এইরূপ বলা সম্ভব নয় যে পিরিণীজ পাহাড়ের এপারকার যা কিছু সবই সত্য আর ওপারের সব হইতেছে অসত্য। প্যারিসে যা সত্য তাহা বোম্বে এবং কলিকাতায়ও সমান ভাবে সত্য । অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসী ফিজিঅক্রাৎ অর্থাৎ প্রকৃতিনিষ্ঠ ধনতত্ত্ববিদগণই অর্থশাস্ত্রের যথার্থ প্রতিষ্ঠাতা । ইংরেজ দার্শনিক হিউম ও আডাম স্মিথ নিজ নিজ চিন্তাধারার ভিতর ফরাসী প্রকৃতবাদীদের প্রভাব অস্বীকার করেন নাই। ফরাসী পণ্ডিত জীবাপতিস্ত সে, বাস্তিয়, ল্যরোআ-ব্যোলিয়ো এই প্রকৃতিবাদীদের প্রদশিত পথই রক্ষা করিয়া আসিয়াছেন। আমাদের প্যারিসের ধনবিজ্ঞানপরিষদও সেই ধারাই বজায় রাখিয়া চলিতেছেন। আমরা ভারতীয় ধনবিজ্ঞানবিদগণের সঙ্গে নিয়মিত আদান-প্রদান চালাইতে পারিলে যারপর নাই মুখী হইব । আমাদের বিশ্বাস এই আদান-প্রদানে যে চিন্তা-বিনিময় স্বই হইবে তাহার ফলে ধন-বিজ্ঞান-বিষ্কার উন্নতি হইতে পরিবে ।