বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>@b" নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন জাৰ্ম্মাণ নারীর আর্থিক কৰ্ম্মক্ষেত্র প্রথমেই বলিয়া রাখিতেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা জাম্মাণ মেয়েদের পক্ষে আর অসম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ যে সব টেকনিক্যাল কলেজ আছে তাতেও মেয়েরা পড়িতেছে । পড়িয়া ডাক্তার উকিল হইতে পারে, রাইখষ্টাগের পালামেন্টের ) মেম্বর হইতে পারে। তারপর ব্যবসা করিয়া, খবরের কাগজ চালাইয়া, লেখিকা হইয়া অনেকে টাকা রোজগার করিতেছে ইত্যাদি ইত্য দি । আরো অন্তান্ত দিকে জাৰ্ম্মাণ মেয়েদের কৃতিত্ব বিশেষ উল্লেখযোগ্য । চাষবাসেও লক্ষ লক্ষ মেয়ে থাটিয়া নিজের দেশকে উন্নত করিতেছে, সে কথা সম্প্রতি না বলিলেও চলিবে । সকল দেশের লোককে উচু-নাচু-মাঝারি এই তিন ভাগে বিভক্ত করিলাম । মধ্যবিত্র সমাজের মেয়েরা কি কি কাজ করে, আর কি কি উপায়ে পয়সা রোজগার করে, সেই কথাই বলিব । প্রধানতঃ চারটা বিষয়ে বলি তে চাই ঃ (১) গৃহস্থালীর কথা (২) মেয়েলী শিল্পের কথা (৩, বৈজ্ঞানিক ও টেকনিক্যাল কাজের কখা (৪) সমাজ-সেবার কথ । আমি লক্ষ্য করিয়াছি যে, - এই চার রকম কৰ্ম্মক্ষেত্রে জামাণির মেয়েরা নতুন নতুন উপায়ে ধনসম্পদ স্বষ্টি করিতেছে । (১) গৃহস্থালী প্রথমতঃ গৃহস্থালী। আমাদের একটা বিশ্বাস আছে, সাদা-চামড়া যে-সব মেয়ে তারা বড় বাবু। বাবু টাবু বলিলে কি বুঝা যায়, তা আপনারা বেশ বুঝেন, বাখ্যার দরকার নাই । তারা কখনও কোন কাজ করে না, রেষ্টরাণ্টে বা হোটেলে খায়, নাচিয়া গাহিয়া বেড়ায় ।