বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় ›ዓቖ নিন্দ করা, অপমান করা এ হাড়ে জানে না। এই পাচ-ছয় মাস ধরিয়া বা কিছু বলিয়াছি বা করিয়াছি তার একটা কথাও আমার নয়া নয় । বার বৎসর বিদেশে থাকিবার সময় প্রায় হাজার আটেক পুষ্ঠার • কাছাকাছি বাঙ্গলা, হিন্দি, ইংরেজী, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, এই পাচ ভাষাতে যা কিছু লিখিয়াছি, আর এই কয়মাস ধরিয়া যা কিছু বলিয়া যাইতেছি সবের ধুয়াই এক । এর পূৰ্ব্বে সেই ১৯০৫-৭ হইতে ১৯১৪ পর্য্যন্ত বাঙ্গল ও ইংরেজি মাসিক পত্রিকায় বা বইয়ের হাজার কয়েক পুষ্ঠায় যা কিছু লিথিয়াছি, তার সঙ্গেও আজকালকার লেখার আর বক্তৃতার মূলতঃ অমিল নাই কোথায়ও । আপনাদের কাহারও কাহার ৪ হয়ত তাহা অজানা নয় । এখন জিজ্ঞাস্য হইতেছে, অপমানটা করা হইল কোন জায়গায়—কাকে ? ই, আমার দেশটা আজকাল ইয়েরামেরিকার চেয়ে থাটো একথা আমি প্রাণে প্রাণে বিশ্বাস করি,—লোকজনকে বলিয়া ও থাকি । কিন্তু তাহাতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশেষকে বেইজ্জত করা হয় কি করিয়া ? বরং লোকের অামাকে ঠিক উণ্টো দোষের জন্য গালাগালি করিয়া থাকে । আমেরিকায়, প্যারিসে, বালিনে থাকিতে যখন বিশ্ব বিদ্যালয়ের হোমরা চোমরা পণ্ডিতেরা তাদের পরিষদে বক্তৃতা দিবার জন্য আহবান করিয়াছেন,—মায় ফ্রান্সের সেই জগদ্বিখ্যাত আকাদেমীতে পধ্যস্ত, সব পরিষদেষ্ট,—যুবক ভারতের জীবন-কথাই প্রচার করিয়াছি । অতীত দুনিয়, বর্তমান দুনিয়া, দুনিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যা কিছু ভাবিয়াছি, যা কিছু বলিয়াছি বা লিখিয়াছি সব কিছুতেই যুবক ভারত আমার আলোচ্য বস্তু ছিল । তার বৃত্তান্ত ওসব দেশের বড় বড় কাগজপত্রেও ছাপা হইয়াছে। একটা আশ্চৰ্য্য ব্যাপার এই যে, তখনকার দিনে সেই দূর বিদেশে আমার যার স্বদেশী ভায় ও বন্ধু ব্যক্তি র্তারা এই বলিয়।