বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ ● €9 নয়া বাঙ্গালার গোড়া পত্তন একতার পথ অনৈক্যে এইবার তৃতীয় জটীলতার কথা বলিতেছি । সেটা এই যে,—একতা জিনিষটা অতি-কিছু নয়। কথায় কথায় ঐক্য, একতা লইয়া লাফালাফি করা বেকুবি । ঐক্য একটা হাতী-ঘোড় নয়। অনৈক্য দ্বারাও যথার্থ শক্তির সৃষ্টি হইতে পারে। আর সেই শক্তিই দরকার হইলে অনৈক্যের ভিতর ঐক্য আনিয়া দিতে পারে। যার সাথে যার মেলে না, কোন দিন মিলিবার সম্ভাবনা আছে কিনা সন্দেহ—শুধু একটা কথার খাতিরে তাদের ঐক্য ফলানো বিড়ম্বন মাত্র । বারোয়ারীতলায় দাড়াইয়া হরিবোল বলিলে তাতে পোষাকী ঐক্য হইতে পারে । হরির লুটটা কুড়াইয়া খাইবার সময় পৰ্য্যন্ত সেই ঐক্য বজায় থাকে, কিন্তু আসল ঐক্য তাতে গজায় না। কিষাণ-জমিদার, মালিক-মজুর, পয়সাওয়াল লোক আর গরীব নরনারী, এদের কাহারো স্বার্থ কাহারে সাথে কোনো দিন মিল খাইবে কিনা কে জানে ? কাজেই অমিলের উপরই দর্শন গড়িয়া তুলিতে যাহারা সাহসী তাহারাই জীবনের দৌড় বাড়াইতে সমর্থ। কথায় কথায় এদের মধ্যে জোর জবরদস্তি করিয়া ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা ঘোরতর অহিন্মুকী । আজ এই ১৯২৬ সনে সে ভাবপ্রবণতার দিন চলিয়া গিয়াছে। দুনিয়া বস্তুনিষ্ঠার দিক দিয়া প্রত্যেক লক্ষ্যের পানে অগ্রসর হইতেছে । আর যুবক ভারতকেও অনৈক্যই হজম করিয়া লইতে হইবে । এই অনৈক্যের ভিতরেই আসল শক্তির ঠাইগুলোকে কেন্দ্রীভূত করিতে হইবে । রাষ্ট্রনীতিই একমাত্র পদার্থ নয় চতুর্থ কথা,—রাষ্ট্রনীতি ও রাজনৈতিক আন্দোলনকে জীবনের একমাত্র ধৰ্ম্ম বিবেচনা করা যাইতে পারে না। আমি একথা বলিতে